সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: ট্রলিব্যাগ থেকে যুবতীর দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল দুর্গাপুরে। ধর্ষণের পরই খুন হয়েছেন যুবতী। এমন অভিযোগ উঠেছে। মৃতের নাম শিল্পা আগরওয়াল। তিনি একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের অস্থায়ী কর্মী ছিলেন। খুনের ঘটনায় অভিযোগের তির ব্যাংকের ম্যানেজারের দিকে। মৃতের পরিবারের তরফ থেকে ইতিমধ্যেই দুর্গাপুর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ম্যানেজার ও তাঁর স্ত্রীকে আটক করেছে পুলিশ। দেহটিকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে দুর্গাপুরেরে বেনাচিতি বাজারের এক আবাসনে। ওই আবাসনেরই বাসিন্দা এই ব্যাংক কর্মী দম্পতি।
জানা গিয়েছে, মৃত যুবতীর বাড়ি বাঁকুড়ায়। গত শনিবার মাসির বাড়ি যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন তিনি। তারপর মেয়ের আর কোনও খোঁজ পায়নি পরিবার। স্থানীয় থানায় শিল্পার নিখোঁজের ডায়েরিও করা হয়। তদন্তে নেমে মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন থেকে যুবতীর উপস্থিতি সম্পর্কে নিশ্চিত হয় পুলিশ। সর্বশেষ টাওয়ার লোকেশন ছিল দুর্গাপুরের নইম নগর। শুরু হয় তল্লাশি। তারপর বৃহস্পতিবার সকালে বেনাচিতির ওই আবাসনে একটি বেওয়ারিশ নীল রংয়ের ট্রলিব্যাগ ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায়। খবর যায় দুর্গাপুর থানায়। পুলিশ এসে ট্রলিব্যাগটি খুলতেই বেরিয়ে পড়ে যুবতীর দেহ। এদিকে ওই আবাসনের একটি ফ্ল্যাটে থাকেন ব্যাংক ম্যানেজার রাজীব কুমার ও তাঁর স্ত্রী মণীষা।
মৃতের পরিবারের অভিযোগ, ওই ব্যাংককর্মী দম্পতিই শিল্পাকে খুন করে ট্রলিব্যাগে ভরে দিয়েছে। দুজনের সঙ্গেই শিল্পার ভাল সম্পর্ক ছিল। খুনের আগে তাঁকে ধর্ষণও করা হয়। প্রাপ্য টাকা চাইতেই করা হয়েছে খুন। যদিও খুনের অভিযোগ মানতে নারাজ রাজীব। উলটে দাবি আত্মহত্যা করেছেন শিল্পা। তবে প্রশ্ন একটাই আত্মহত্যাই যদি করবেন তাহলে দেহ কী করে ট্রলিতে গেল। এমনকী, দেহের সঙ্গে ন্যাপথলিনও পাওয়া গিয়েছে। অভিযোগ, সুনিপুণভাবে হ্ত্যার পর দেহ পাচারের চেষ্টায় ছিলেন ওই দম্পতি। দুর্গন্ধ আটকাতে দেওয়া হয়েছিল ন্যাপথলিন।
পুলিশ জানিয়েছে, শেয়ারবাজারে টাকা খাটাতে বেশ কিছু টাকা দিয়েছিলেন শিল্পা। টাকা দেওয়া হয়েছিল রাজীবকে। তবে পরে আর টাকা ফেরত পাননি। সেই টাকা নিতেই বেনাচিতি এসেছিলেন তিনি। টাকা নিতে মিথ্যে বলেই বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, টাকা চাওয়াতেই খুন হতে হয়েছে যুবতীকে।
ছবি- উদয়ন গুহ রায়
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.