ছবি: প্রতীকী
স্টাফ রিপোর্টার ও নিজস্ব সংবাদদাতা: ফেসবুকে আলাপ৷ বন্ধুত্ব৷ প্রেম৷ এবং সেখানেই চিরবিচ্ছেদ৷ আর তারপরই ঘটল সেই অপ্রত্যাশিত ঘটনা৷ প্রেমিকার দেহ ভেসে উঠল ভাগাড়ের পাশের এক পুকুরে৷ পলাতক প্রেমিক৷
হুগলির ঘটনা৷ পুলিশ এসে যুবতীর দেহ উদ্ধার করে৷ সেই পলাতক ফেসবুক বন্ধুর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছে মৃতার পরিবার৷ অভিযুক্তর খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে৷ পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, খুনের আগে তাঁর উপর শারীরিক নিগ্রহ করা হয়ে থাকতে পারে৷ ২২ জানুয়ারি থেকে নিখোঁজ ছিলেন কলকাতার দমদম এলাকার পাতিপুকুরের রাজামান্ডির বাসিন্দা মৌসুমি বর্মন৷ চারদিন ধরে নিখোঁজ থাকার পর ২৬ জানুয়ারি বছর তিরিশের যুবতীর মৃতদেহ উদ্ধার হল হুগলির ব্যান্ডেলের একটি পুকুর থেকে৷ পুলিশ খোঁজ চালিয়ে তাঁর পরিবারের সন্ধান পায়৷ বৃহস্পতিবার মৃতদেহ শণাক্ত করেন মৃতার বাবা পার্থ বর্মন৷ মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে৷
পরিবার সূত্রে খবর, মৌসুমীর সঙ্গে ফেসবুকে আলাপ হয়েছিল বিপ্লব ঘোষ নামে এক যুবকের৷ বছর তিনেক ধরে একে অপরকে চিনতেন তাঁরা৷ ধীরে ধীরে তাঁদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে৷ পরস্পরের বাড়িতেও যাতায়াত শুরু হয়৷ গত ২২ জানুয়ারি বিকেল চারটে নাগাদ বিপ্লবের সঙ্গে দক্ষিণেশ্বরে পুজো দেওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বের হন মৌসুমী৷ পরিবার তাতে কোনও আপত্তি জানায়নি৷ কিন্তু ওইদিন অনেক রাত হয়ে গেলেও বাড়ি ফেরেননি মৌসুমি৷ মোবাইলেও তাঁকে যোগাযোগ করা যায়নি৷ বিপ্লবেরও কোনও খোঁজ মেলেনি৷ তারপরই তাঁর মৃত্যুর খবর সামনে আসে৷এই ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায়৷ মৃতার পরিবারের অভিযোগ, অভিযুক্ত বিপ্লব ঘোষই মৌসুমিকে খুন করেছে৷ তাদের মধ্যে দীর্ঘদিনের আলাপ পরিচয় ছিল৷ নিখোঁজ হওয়ার আগে মৌসুমি বিপ্লবের সঙ্গেই বের হয়েছিল৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.