Advertisement
Advertisement

Breaking News

তন্ত্রসাধনার বলি বধূ, দুর্গাপুরে বস্তাবন্দি দেহ কাণ্ডে রহস্যের কিনারা পুলিশের

গ্রেপ্তার স্বামী-সহ তান্ত্রিক শ্বশুর ও শাশুড়ি৷

Woman’s body found in bag in Durgapur
Published by: Kumaresh Halder
  • Posted:September 19, 2018 5:44 pm
  • Updated:September 19, 2018 9:33 pm  

সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: গৃহবধূর বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধারের ১৮ দিন পর ঘটনার কিনার করল পুলিশ৷ গৃহবধূর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের জেরা করে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেলেন তদন্তকারী আধিকারিকরা৷ গৃহবধূ খুনের পেছনে তন্ত্রসাধনার যোগ রয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে পুলিশ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, গত ২ সেপ্টেম্বর দুর্গাপুর থানা এলাকার মেন গেটের কাছে তামলাখালে উদ্ধার হয় গৃহবধূর বস্তাবন্দি মৃতদেহ৷ মহিলার দেহ উদ্ধারের পর ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ৷ বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধারের পর মহিলার পরিচয় জানার কাজ শুরু হয়৷ পরে মহিলার নাম-পরিচয় পাওয়ার পর অভিযুক্ত স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়িকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ৷ ধৃতদের জেরা করে চাঞ্চল্যকর তথ্য জানতে পারেন তদন্তকারী আধিকারিকরা৷

অভিযুক্ত তান্ত্রিক শ্বশুর ও শাশুড়ি। ছবি- উদয়ন গুহরায়

[চন্দ্রকোনার এই বনেদি বাড়ির পুজোয় কালো পাঁঠা চাই-ই চাই! কেন জানেন?]

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, গত ৭ সেপ্টেম্বর ওই গৃহবধূর মা দুর্গাপুর থানায় মেয়ের নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন৷ বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধার ও নিখোঁজ ডায়েরির সঙ্গে যোগসূত্র খুঁজে পায় পুলিশ৷ গৃহবধূর নাম জানতে পারে পুলিশ৷ এরপরই তদন্ত করতেই উঠে আসে এই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ৷ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত গৃহবধূর শ্বশুর মলিন্দ্র মিদ্যা পেশায় রিকশচালক হলেও তন্ত্রসাধনার সঙ্গেও যুক্ত বলে প্রতিবেশীদের অভিযোগ৷ দৈনিক কালী ঠাকুরের পুজো ছাড়াও তার কাছে বহিরাগত তান্ত্রিকরাও আসত বলে দাবি করেছেন স্থানীয়রা৷ ঘরের মধ্যে বিশালাকার ত্রিশূল ও কালী মূর্তিও রয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে৷ গৃহবধূর শাশুড়ি কুন্তি মিদ্যাও এই তন্ত্রসাধনার সঙ্গে যুক্ত বলেই প্রতিবেশীদের দাবি৷ তাদের বড় ছেলে রাজেশের স্ত্রী সোনিয়া৷ দুই বছর আগে ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা সোনিয়ার সঙ্গে বিয়ে হয় রাজেশের৷ বিয়ের পর থেকে প্রায় দেড় বছর বাপের বাড়িতেই ছিলেন সোনিয়া৷ মাস তিনেক হল শ্বশুর বাড়িতে ওঠেন৷

[ইট বহন থেকে গা টেপানো, খুদে পড়ুয়াদের দিয়ে সবই করাচ্ছেন স্কুল শিক্ষকরা]

প্রতিবেশীদের দাবি, শুধু শারীরিকভাবেই নয় মানসিকভাবেও অত্যাচার চালানো হতো সোনিয়ার উপর৷ রাতে তন্ত্রসাধনার আচার অনুষ্ঠানেও সোনিয়াকে জোর করে অংশ নিতে বাধ্য করত শ্বশুর ও শাশুড়ি বলে প্রতিবেশীদের অভিযোগ৷ এছাড়াও পারিবারিক বিবাদও ছিল এই পরিবারের মধ্যে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে৷ পুলিশের অনুমান, তন্ত্রসাধনার জন্য ওই গৃহবধূকে খুন করে বন্তাবন্দি করে দেহ ফেলে দেওয়া হয়৷ তবে, খুনের দায় অভিযুক্তরা এখনও স্বীকার না করলেও জেরার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement