ছবি: প্রতীকী
শাহজাদ হোসেন, ফরাক্কা: এবার বাংলাতেই সীমা হায়দারের ঘটনার ছায়া। স্বামী এবং তিন সন্তানকে ফেলে ভালবাসার টানে পুরনো প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছিলেন বধূ রিংকু রাউথ রায়। প্রায় সাত মাস পর তাঁকে এবং তাঁর প্রেমিককে উদ্ধার করল মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ থানার পুলিশ।
সামশেরগঞ্জের রতনপুরের বাসিন্দা তথা গৃহবধূর স্বামী রাজেশ দাস রিংকুর অপহরণের অভিযোগ এসেছিলেন। সেই ভিত্তিতেই ওই গৃহবধূ এবং তাঁর প্রেমিককে বারাসত থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বুধবার তাঁদের জঙ্গিপুর মহকুমা আদালতে পাঠানো হয় বলে জানানো হয়েছে সামশেরগঞ্জ থানার তরফে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ১৫ বছর আগে পুরুলিয়ার নিতুলিয়া থানার অন্তর্গত মেকাতলা গ্রামের মেয়ে রিংকু রাউথ রায়ের সঙ্গে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জের রতনপুরের যুবক রাজেশ দাসের বিয়ে হয়। পরিবারের সম্মতিতে বিয়ে হওয়ার পর তাঁদের চার সন্তানও হয়। কিন্তু বছর খানেক আগে তিন সন্তানকে রেখে কোলের সন্তান নিয়ে হঠাৎ পুরুলিয়ার পুরনো প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যান ওই গৃহবধূ। বহু খোঁজাখুঁজি করেও তাঁর সন্ধান না মেলায় সামশেরগঞ্জ থানার দ্বারস্থ হন স্বামী রাজেশ দাস। স্ত্রীকে অপহরণ করার অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
এরপরই শুরু হয় তদন্ত। অবশেষে প্রায় সাত মাস পর উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতের পুঁই পুকুর ক্ষুদিরাম পল্লি এলাকা থেকে রিংকু ও তাঁর প্রেমিক ধর্মেন্দ্র বাউড়িকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সূত্রের খবর, ওই গৃহবধূ এখন থাকবেন কোথায়? প্রেমিকের কাছেই নাকি ফিরে যাবেন স্বামীর কাছে, তা নিয়ে আদালতে গৃহবধূ এবং তাঁর প্রেমিকের বয়ানের ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.