চন্দ্রজিৎ মজুমদার, কান্দি: বাড়িতে পড়াতে আসা গৃহশিক্ষকের প্রেম করে সাতপাকের বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন যুবতী। এক বছর আগে বিয়ে করলেও শ্বশুরবাড়িতে মেলেনি বধূর স্বীকৃতি। সেই কারণেই নিজের স্বীকতি আদায়ের দাবিতে শ্বশুরবাড়ির সামনে বসে বিক্ষোভ দেখালেন তিনি। ঘটনাটি মুর্শিদাবাদের ভরতপুর থানার সুনিয়া গ্রামের। এই ঘটনায় গ্রামজুড়ে শোরগোল ছড়িয়ে পড়ে। তবে বধূর স্বামী আবু সিদ্দিক ঘটনার পর থেকেই পলাতক।
অভিযুক্ত যুবকের পিতা হারাই শেখ জানান, “আমি এই ঘটনার কিছুই জানি না। ছেলে আমাকে কিছুই জানায়নি। যা করেছে ছেলে নিজে করেছে। যে মহিলা অভিযোগ করছে সে জানে আমার ছেলে কোথায় আছে। আমি তাও জানি না। আইনগত যা হবে তাই হোক।”
যদিও অভিযোগকারী ওই বধু জানান, “প্রায় দুবছর ধরে গ্রামের যুবক আবু সিদ্দিকির সঙ্গে আমার প্রেমের সম্পর্ক। কিছুদিন আগে আমরা কান্দিতে বিয়ে করেছি। আমার প্রাক্তন স্বামীকে ডিভোর্স দিয়েছি। আমি শ্বশুরবাড়িতে বধূর স্বীকৃতি পেতে চাই। স্বামীকে যতবারই বলেছি বাড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য বিষয়টি এড়িয়ে গিয়েছে ও। এখন আমার সঙ্গে দেখাও করছে না। সেই জন্যই শ্বশুরবাড়ির সামনে ধরনায় বসেছি।”
ভরতপুর থানার শুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা অভিযুক্ত যুবক আবু সিদ্দিক কান্দি কলেজের স্নাতকস্তরের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। এলাকার গ্রামবাসীরা ও পুলিশ জানিয়েছে, গ্রামের এক বাড়িতে আবু সিদ্দিক গৃহশিক্ষকতা করতেন। সেই সূত্রেই ওই বধূর সঙ্গে আলাপ। শেষপর্যন্ত ওঁরা বিয়ে করেন। পুলিশ চায় সমস্যার সমাধান হোক। দুজনে ঘর সংসার করুন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.