রাজা দাস, বালুরঘাট: বাড়ির অমতে পালিয়ে বিয়ে করেছে প্রেমিক। কিন্তু বিয়ের পর দেড় বছর পেরিয়ে গেলেও শ্বশুরবাড়িতে ঠাঁই হয়নি। পুত্রবধূর স্বীকৃতির দাবিতে শেষপর্যন্ত শ্বশুরবাড়ির সামনে ধরনায় বসলেন এক যুবতী। ঘটনায় শোরগোল পড়েছে দক্ষিণ দিনাজপুরের কুমারগঞ্জের দিওর এলাকায়। এদিকে এই ঘটনার পর থেকে বেপাত্তা ওই যুবতীর স্বামী।
কুমারগঞ্জের দিওর এলাকায় থাকেন রাজ্জাক সরকার। পেশায় তিনি ব্যবসায়ী। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বাবার ব্যবসা দেখাশোনা করেন রাজ্জাক সরকারের ছেলে সোহেল। পাশেই পাঁচপুকুর এলাকা। সেখানকার বাসিন্দা যুবতী নাসরিন খাতুনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল তাঁর। কিন্তু নাসরিনের সঙ্গে ছেলের বিয়ে দিতে রাজি ছিলেন না সোহেলের পরিবারের লোকেরা। নাসরিন খাতুনের দাবি, বছর দেড়েক আগে বাড়ির অমতে পালিয়ে গিয়ে তাঁকে বিয়ে করেছে সোহেল। বিয়ের পর বাপের বাড়িতেই ওঠেন তিনি। বারবার বলা সত্ত্বেও সোহেল স্ত্রীকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যাননি। শেষপর্যন্ত নাসরিন যখন শ্বশুরবাড়িতে যাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠেন, তখন সোহেল গা-ঢাকা দেন বলে অভিযোগ।
এদিকে গত কয়েক দিন ধরেই স্বামীর খোঁজ না পেয়ে শুক্রবার সকালে কুমারগঞ্জের দিওর এলাকায় শ্বশুরবাড়িতে চলে আসেন নাসরিন। পুত্রবধূর স্বীকৃতি দাবিতে শ্বশুরবাড়ি সামনের ধরনার বসেছেন তিনি। এদিকে পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে পালিয়ে যান ওই যুবতীর শ্বশুর রাজ্জাক সরকার ও তাঁর স্ত্রী। শেষপর্যন্ত দু’জনকেই খুঁজে বের করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। থানায় আলোচনায়ও বসেন দুই বাড়ির লোকেরা। কিন্তু সমাধান সূত্রে মেলেনি বলে জানা গিয়েছে। এদিকে পুত্রবধূর স্বীকৃতি না পাওয়া পর্যন্ত ধরনা চালিয়ে যাবেন বলে কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়েছেন নাসরিন খাতুন।
দিন কয়েক আগেই, পণের জন্য শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে অত্যাচারের অভিযোগ তুলেছিলেন বালুরঘাটের এক গৃহবধূ। শ্বশুরবাড়ির সামনে ধরনায়ও বসেছিলেন তিনি। শেষপর্যন্ত রাতে অবশ্য ধরনা তুলে দেয় পুলিশ। ওই গৃহবধূর বিরুদ্ধে আবার ছেলেকে ভুল বুঝিয়ে বিয়ে করার পালটা অভিযোগ তুলেছিলেন তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.