রাজা দাস, বালুরঘাট: ধূপগুড়ির অনন্তর পর আরও অনেকেই তাঁর পথে হেঁটেছিল অধিকার আদায়ে। অনেকে সফল হয়েছেন। কেউ আবার খালি হাতেই ফিরতে বাধ্য হয়েছেন। এবার স্ত্রীর মর্যাদার দাবিতে ধরনায় বসলেন বালুরঘাটের এক যুবতী। সন্তান ও বাবা-মাকে নিয়ে তিনদিন ধরে শ্বশুরবাড়ির বাইরে ঠায় বসে তিনি। যুবতী জানান, পুলিশ প্রশাসনকে জানিয়েও সুরাহা না মেলায় এই পথ বেছে নিয়েছেন তিনি। যতদিন না স্ত্রীর মর্যাদা পাচ্ছেন ততদিন স্বামী তমাল বর্মনের বাড়ির সামনেই ধরনায় বসে থাকবেন বলে জানিয়েছেন যুবতী।
জানা গিয়েছে, শরণগ্রামের বাসিন্দা তমাল বর্মণ পেশায় কাপড় ব্যবসায়ী। যুবতী পতিরাম ঝাঁপুর্শি এলাকার বাসিন্দা। বছর দুয়েক আগে ওই যুবতীর সঙ্গে ফোনে পরিচয় হয় তমালের। এরপর দু’জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। শারীরিক সম্পর্কও তৈরি হয় তাঁদের মধ্যে। এরপরই অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পরেন ওই যুবতী। অভিযোগ, এরপরই বিয়েতে বেঁকে বসে তমাল। যুবতীর পরিবার তমালের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করে। ওই যুবককে গ্রেপ্তারও করে পুলিশ। পরে বিয়ের আশ্বাস দিলে জামিনে মুক্তি পায় তমাল। এরপর মাস ছয়েক আগে রেজিস্ট্রি করে যুবতীকে বিয়ে করে তমাল। বিয়ের পরপরই সন্তানের জন্ম দেন যুবতী। অভিযোগ, বিয়ের পর ছয় মাস কেটে গেলেও স্বামীর বাড়িতে ঠাঁই হয়নি তাঁর। বাধ্য হয়ে বুধবার থেকে সন্তানকে নিয়ে স্বামীর বাড়ির বাইরে ধরনায় বসেন ওই যুবতী। ঘটনাকে কেন্দ্র করে বচসায় জড়িয়ে পড়ে ওই যুবতীর বাপের বাড়ি ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা।
যুবতী জানান, অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ায় তাঁকে বিয়ে করতে অস্বীকার করে তমাল। পরে যদিও দুই বাড়ির সম্মতিতেই বিয়ে হয়। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই যুবতীকে বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তাই স্ত্রীর মর্যাদা পেতে সন্তানকে নিয়েই ধরনায় বসেন। এ প্রসঙ্গে তমালের বাবা গৌতম বর্মণ স্বীকার করে নেন যে, ওই যুবতী তাঁর পুত্রবধূ। তবে তিনি অভিযোগ করেন, যুবতীর কোলের সন্তান তাঁদের বংশের কেউ নয়। পিতৃ পরিচয় নিশ্চিত করতে ডিএনএ টেস্টের দাবিও জানান তিনি। তাঁদের পরিবারের তরফে স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দেওয়া হয় শিশুটির পরিচয় জানা গেলে তবেই ওই যুবতীকে পুত্রবধূ হিসেবে মেনে নেওয়া হবে। তাঁদের কথায়, যুবতীর আচরণে অত্যন্ত বিরক্ত তাঁরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.