Advertisement
Advertisement

Breaking News

মৃত সদ্যোজাত

সদ্যোজাতকে খুন করে মাটিতে পুঁতে দেওয়ার অভিযোগ, কাঠগড়ায় মা

মাটির নিচ থেকে মিলেছে সদ্যোজাতের দেহ।

Woman murders her son in Nadia's Nakashipara, detained
Published by: Bishakha Pal
  • Posted:July 17, 2019 9:28 pm
  • Updated:July 17, 2019 9:28 pm  

পলাশ পাত্র, তেহট্ট: একদিনের বাচ্চাকে মেরে মাটি চাপা দিয়ে রাখার অভিযোগ উঠল তারই মায়ের বিরুদ্ধে। ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে নাকাশিপাড়া পুলিশ স্টেশনের করোলি পাড়া এলাকায়। অভিযুক্ত ওই মহিলার নাম চম্পা মণ্ডল। তাঁর বাড়ির রান্নাঘরের পিছন থেকে উদ্ধার করা হয়েছে শিশুপুত্রের মৃতদেহ।

[ আরও পড়ুন: শহরে গ্যাসের আকাল, দিনভর অটো চালকদের অবরোধে স্তব্ধ দুর্গাপুর ]

Advertisement

জানা গিয়েছে, বুধবার বেলা তিনটে নাগাদ পড়শিরা চম্পার বাড়ি থেকে চেঁচামেচির শব্দ পান। নাকে আসে গন্ধও। এলাকার মানুষের সন্দেহ হয়। তাঁরা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে চম্পা মণ্ডলের রান্নাঘরের পিছন থেকে বাচ্চার মৃতদেহ উদ্ধার করে। পুলিশের বক্তব্য, ওই বাচ্চাটি চম্পার পুত্রসন্তান। বয়স দু’দিন। বাচ্চাটি মেরে ফেলার পর মাটির নিচে তার দেহ পুঁতে দেওয়া হয়। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, পরকীয়া সম্পর্ক ছিল চম্পার। সেই কারণে পুত্রসন্তানকে চম্পা নিজেই খুন করেছেন। তারপর যাতে কেউ জানতে না পারে, তাই মৃতদেহ পুঁতে দিয়েছেন মাটিতে। যদিও চম্পা অভিযোগ অস্বীকার করেন। উলটে তার অভিযোগ, তাঁর বাবা মেরেছেন নাতিকে।

চম্পার বক্তব্য, তাঁর স্বামী রাজ্যের বাইরে থাকেন। কেরলে তিনি কর্মরত। মাঝে মধ্যে বাড়ি আসেন। শেষ বাড়ি এসেছিলেন কার্তিক মাসে। তারপরই গর্ভবতী হন চম্পা। সামনেই তাঁর প্রসবের দিন ছিল। এই কারণে তিনি তাঁর বাবা চিত্ত মণ্ডলের হাতে ৩০০ টাকা দিয়েছিলেন। কিন্তু চম্পার অভিযোগ, ঠিক সময়ে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাননি তাঁর বাবা। ফলে বাড়িতেই প্রসব হয় তাঁর। চিত্ত মণ্ডলের টার্গেটই নাকি ছিল নাতিকে মেরে ফেলার। তাই প্রসবের পর যখন চম্পা অজ্ঞান হয়ে ছিলেন, সেই সময় বাচ্চাটিকে মেরে ফেলেন তিনি। চম্পা আরও জানিয়েছেন, তিনি বাবা বা তাঁর ভাইদের কথা শুনতেন না। সেই কারণেই চিত্ত মণ্ডল চম্পার পুত্রসন্তানকে খুন করেন।

ঘটনার পর চম্পার বাড়িতে ভাঙচুর চালান এলাকার মহিলারা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার বাচ্চাটির দেহ শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে পাঠানো হবে। চম্পা মণ্ডল ও তাঁর বাবা চিত্ত মণ্ডলকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ।

[ আরও পড়ুন: তুঙ্গে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, এবার বিজেপির জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে সরব দলেরই একাংশ ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement