পলাশ পাত্র, তেহট্ট: মাংস কিনে এনেছিল প্রেমিকই। সেই মাংস আর ভাতের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে স্বামীকে খুন করেছে স্ত্রী। আর এই কাজে তাকে সাহায্য করেছে প্রেমিক। নদিয়ার তেহট্টের কালীগঞ্জে যুবক খুনের ঘটনার উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। ঘটনার দিনই মৃতের স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ধৃতকে পাঁচদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
২৫ বছরের দাম্পত্য। দুই মেয়ের বিয়েও হয়ে গিয়েছে। আর ছোট মেয়ে নেহাতই শিশু। কিন্তু বিবাহিত জীবনে সুখী ছিলেন না কালীগঞ্জের শেরপুরের গৃহবধূ শিখা দাস। তাঁর স্বামী তপন দাস পানের ব্যবসা করতেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে রোজই অশান্তি লেগেই থাকত। অশান্তি মাত্রা এতটাই বেড়ে গিয়েছিল যে, একসময় মানসিকভাবে রীতিমতো অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তপন। প্রতি রাতে ওষুধ খেতেন তিনি। তবে তপনের বিরুদ্ধেও স্ত্রীকে মারধর করার অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। গত শনিবার সকালে আচমকাই হাউমাউ করে কাঁদতে শুরু করেন শিখা। বলেন, তাঁর স্বামী চোখ খুলছেন না। স্থানীয় বাসিন্দারা যখন ওই দম্পতির ঘরে ঢোকেন, তখন দেখেন ঘাটের উপরে মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন তপন। তবে তাঁর গলায় দড়ি প্যাঁচানোর দাগ দেখে সন্দেহ হয় প্রতিবেশীরা। খবর দেওয়া হয় থানায়। পুলিশি জেরায় শিখা, স্বামী তপন দাসকে খুনের কথা স্বীকারও করে নেয় বলে বলে জানা গিয়েছে।
কিন্তু ঠিক কী কারণে স্বামীকে খুন করল শিখা? তদন্তকারীদের বক্তব্য, ব্যবসার সূত্রে তপন দাসের বাড়িতে যাতায়াত ছিল এক যুবকের। তার সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে তপনের স্ত্রী শিখা। পথে কাঁটা সরিয়ে ফেলতেই প্রেমিকের সঙ্গে স্বামীকে খুনের পরিকল্পা করে ওই মহিলা। ঘটনার দিন রাতে বাড়িতে মাংস-ভাত রান্না করে শিখা। সেই খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেয়। খাওয়া-দাওয়ার পর রাতে যখন তপন ঘুমিয়ে পড়েন, তখন ফোন করে প্রেমিকে বাড়িতে ডাকে তাঁর স্ত্রী। দু’জনে মিলে নাইলনের দড়ি দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করে বলে দাবি করেছেন তদন্তকারীরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.