নিজস্ব সংবাদদাতা, বনগাঁ: মামীকে খুনের অভিযোগ উঠল ভাগ্নের বিরুদ্ধে৷ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো উত্তেজনা ছড়াল উত্তর ২৪ পরগনার গোপালনগরের কামদেবপুর এলাকায়৷ গোপালনগর থানার পুলিশ অভিযুক্ত তাপস দাসকে গ্রেপ্তার করেছে৷ বনগাঁ আদালতের নির্দেশে সাতদিনের পুলিশ হেফাজতে অভিযুক্ত৷
মামা-মামী নিঃসন্তান৷ তাই ছোট থেকে সন্তান স্নেহে ভাগ্নে তাপসকে বড় করে তুলেছিলেন মামী৷ ভাগ্নের সমস্ত দাবিদাওয়াও মেটাতেন তাঁরাই৷ ব্যবসার কাজে প্রায়শই বাড়িতে থাকতেন না ওই যুবকের মামা৷ মামীকে নিয়ে বাড়িতে থাকত সে৷ বুধবারও একই ঘটনা ঘটে৷ মামীকে নিয়ে বাড়িতে ছিল তাপস৷ দুপুরের দিকে বাড়ি ফিরে ওই ব্যবসায়ী দেখেন ঘরের মেঝেতে তাঁর স্ত্রীর নিথর দেহ পড়ে রয়েছে৷ চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে দেন তিনি৷ আচমকা কি হল, তা বুঝতে না পেরে ব্যবসায়ীর বাড়িতে ভিড় জমান প্রতিবেশীরা৷ বাড়িতে গিয়ে অবাক হয়ে যান তাঁরাও৷ দেখেন, মেঝেতে পড়ে রয়েছে মহিলার দেহ৷
ভাগ্নে থাকাকালীন মহিলার মৃত্যু হয়েছে বলেই সন্দেহ হন স্থানীয়দের৷ সেই অনুযায়ী ওই যুবককে ঘিরে ধরে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন তাঁরা৷ কথাবার্তায় মেলে একাধিক অসঙ্গতি৷ এরপরই প্রতিবেশীদের চাপে কান্নায় ভেঙে পড়ে সে৷ মামীকে খুনের কথা স্বীকার করে নেয় ওই যুবক৷ গলা টিপে শ্বাসরোধ করে মামীকে খুন করেছে বলেই জেরায় জানায় তাপস৷ ইতিমধ্যেই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বনগাঁ থানার পুলিশ৷ মহিলার দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠান হয়৷ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ৷ খুনের কথা স্বীকার করলেও, খুনের কারণ নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে অভিযুক্ত৷ বৃহস্পতিবার বনগাঁ আদালতে তোলা হয় তাপসকে৷ ধৃতকে সাতদিনের পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক৷ তাকে জেরা করেই খুনের প্রকৃত কারণ সামনে আসতে পারে বলেই আশা তদন্তকারীদের৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.