সৌরভ মাজি, বর্ধমান: সেতুর উপর থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন এক গৃহবধূ। স্থানীয়দের তৎপরতায় ওই বধূকে উদ্ধার করা হয়। গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি।
শুক্রবার দুপুরে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরে। পার্বতী মুর্মু (২২) নামে ওই বধূকে দামোদর থেকে উদ্ধার করে প্রথমে জামালপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। অবস্থা সঙ্কটজনক হওয়ায় ওই বধূকে পরে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। কী কারণে পার্বতী আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন তা স্পষ্ট নয় পুলিশের কাছে। ওই বধূ কিছুটা সুস্থ হলে তাঁর সঙ্গে কথা বলে পুলিশ কারণ জানার চেষ্টা করবে। পার্বতীর শ্বশুরবাড়ি জামালপুরের ডাঙাগ্রামে। বধূর পরিবারের লোকজনও জানাতে পারেননি কেন এমন কাণ্ড ঘটালেন ওই বধূ। পার্বতীর স্বামী বৈদ্যনাথ মুর্মু পেশায় দিনমজুর। তিনি অবশ্য জানিয়েছে, এর আগেও কয়েকবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন তাঁর স্ত্রী। মানসিকভাবে কিছুটা অসুস্থ বলেও তিনি দাবি করেছেন। এদিন বৈদ্যনাথ বলেন, “আগেও নানা অস্বাভাবিক আচরণ দেখা গিয়েছে স্ত্রীর মধ্যে। আমাদের সংসারে কোনও অশান্তি নেই। কিন্তু এদিন দামোদরে ঝাঁপ দিয়ে কেন আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন তা বুঝতে পারছি না।”
[ভরদুপুরে পুরুলিয়ার আদ্রায় শুটআউট, নিহত যুব তৃণমূল নেতা]
বধূর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন দুপুরে ওই বধূ শ্বশুরবাড়ি থেকে বেরন। তাঁর জামালপুর যাওয়ার কথা ছিল। এক আত্মীয়ের বাইকে চড়ে তিনি জামালপুর যাচ্ছিলেন। বাড়ি থেকে বেরনোর সময় একটি প্লাস্টিক ব্যাগ নিয়ে বেরিয়েছিলেন পার্বতী। প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানিয়েছেন, বাইকটি জামালপুরে ঢোকার আগে দামোদরের উপর হরেকৃষ্ণ কোঙার সেতুর মাঝামাঝি আসতেই পার্বতী তাঁর হাতে থাকা ব্যাগটি ফেলে দেন সেতুর উপর। ওই আত্মীয় বাইক থামান প্যাকেট কুড়িয়ে আনার জন্য। ওই বধূ বাইক থেকে নেমে প্যাকেট না কুড়িয়ে সেতুর রেলিং টপকে দামোদরে ঝাঁপ দেন। হতচকিত হয়ে পড়েন ওই আত্মীয়। রাস্তায় থাকা অন্যান্য মানুষজনও অবাক হয়ে যান। সকলেই চিৎকার চেঁচামেচি জুড়ে দেন। ওই আত্মীয় ও স্থানীয়রা নৌকা নিয়ে গিয়ে বধূকে উদ্ধার করেন। আসে পুলিশও। বধূকে ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। বধূর স্বামী জানান, তাঁর স্ত্রীর দিনকরা দাদার সঙ্গে জামালপুরে একটি স্টুডিওতে যাওয়ার সময় এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন। নদীতে কম জল থাকায় তলিয়ে যাননি তাঁর স্ত্রী।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.