ছবি: প্রতীকী
কল্যাণ চন্দ, বহরমপুর: জামাইয়ের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক। ঘরের ভিতর আপত্তিকর অবস্থায় তাঁদের দেখতে পেয়ে গণপিটুনি (Lynching) দিল বিক্ষুব্ধ জনতা। যার জেরে মৃত্যু হয়েছে শাশুড়ির। জামাইকে গুরুতর আহত অবস্থায় ভরতি করা হয়েছে স্থানীয় হাসপাতালে। ঘটনায় চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে থানায়। মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) হরিহরপাড়া সর্বাঙ্গপুর ডাঙাপাড়ার এই ঘটনায় তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
হরিহরপাড়া থানা এলাকার সর্বাঙ্গপুর ডাঙাপাড়া এলাকার বাসিন্দা নুরসেফা বিবি, বয়স ৪০ বছর। স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, মেয়ের বিয়ের পর থেকেই নাকি বছর তিরিশের জামাই মফিজুল মণ্ডলের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা শুরু হয়। কেউ কেউ বলছেন, প্রায়ই নাকি নুরসেফা-মফিজুলকে একসঙ্গে দেখা যেত। পরিবারের সদস্যদের দাবি, সোমবার রাতে একই ঘরে শাশুড়ি এবং জামাইকে ঘরের ভিতর আপত্তিকর অবস্থায় দেখা যায়। আর তারপরই আছড়ে পড়ে ক্ষোভ।
ঘরের ভিতর ঢুকে তাঁদের মারধর শুরু করে এলাকার কয়েকজন। বাঁশ, লাঠি দিয়ে বেধড়কভাবে পেটানো হয়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় শাশুড়ি নুরসেফা বিবির। গুরুতর জখম জামাই মফিজুলকে প্রথমে হরিহরপাড়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। সেখানেই আপাতত চিকিৎসাধীন তিনি।
হাসপাতালে বিছানায় শুয়েই মফিজুল মণ্ডলের জানান, তাঁর শ্বশুর ও শ্যালকরা ভুল বুঝে বেধড়ক মারধর করেছে। তিনি ওই রাত্রে টাকা চাইতে শাশুড়ির কাছে গিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে কোনও সম্পর্ক নেই। হরিহরপাড়া থানার পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। সেখান থেকে নুরসেফার মৃতদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়। এই ঘটনায় সোমবার রাত থেকেই ব্যাপক চাঞ্চল্য এলাকায়। গণপিটুনিতে মৃত্যুর ঘটনায় চারজনের নামে লিখিত অভিযোগ হয়েছে থানায়। তদন্ত শুরু করেছে হরিহরপাড়া থানার পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.