বাবুল হক, মালদহ: পিতৃত্বের পরিচয় দিতে নারাজ! অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মীর বাড়ির সামনে সদ্যোজাত কন্যাসন্তানকে ফেলে রেখে গেলেন মহিলা। মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের বিতোল গ্রামের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য। হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই পরিচারিকা। সদ্যোজাতকে উদ্ধার করে হরিশ্চন্দ্রপুর হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশ।
বিতল গ্রামের বাসিন্দা ওই মহিলার স্বামী প্রায় দুই বছর ধরে ভিনরাজ্যে কর্মরত। অভাবের সংসার। দুই মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে এলাকারই ওই অবসরপ্রাপ্ত পঞ্চায়েত কর্মী তৈমুর রহমানের বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করে কোনোরকমে দিন গুজরান করতেন। অভিযোগ, তৈমুরের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ঘনিষ্ঠতা বাড়ার পর যৌন সম্পর্কেও জড়িয়ে পড়েন দুজনে। বার বার বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকেন। ওই মহিলা পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। তবে তৈমুর মহিলাকে বিয়ে করতে অস্বীকার করেন বলেই অভিযোগ। মহিলার দাবি, তৈমুরের বাড়ির কয়েকজন সদস্য ওই মহিলাকে গর্ভপাত করাতেও নিয়ে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে মহিলা কোনওমতে পালিয়ে আসেন। কয়েকমাস কাটতে না কাটতেই ওই মহিলা এক কন্যাসন্তানের জন্ম দেন।
কন্যাসন্তান জন্মের পরেও পিতৃত্বের স্বীকৃতির জন্য বার বার তৈমুরকে অনুরোধ করেন। তবে তা সত্ত্বেও কোনও লাভ হয়নি বলেই দাবি। অবশেষে বুধবার ওই মহিলা তাঁর কন্যাসন্তানকে তৈমুরের বাড়ির সামনে রেখে দিয়ে চলে যান। ঘটনার কথা ছড়িয়ে পড়তে এলাকায় জড়ো হন গ্রামবাসীরা। খবর দেওয়া হয় হরিশ্চন্দ্রপুর থানায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই কন্যাসন্তানকে উদ্ধার করে হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করে। অন্যদিকে, অভিযুক্ত তৈমুর রহমান পলাতক।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.