অংশপ্রতিম পাল, খড়গপুর: ৯ বছর আগে লাইগেশন করিয়েছিলেন। কিন্তু, ফের সন্তানের জন্ম দিলেন এক মহিলা! ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রেলশহর খড়গপুরে। এমনকী, ওই মহিলার ক্ষতিপূরণ পাওয়া নিয়েও জটিলতা দেখা দিয়েছে। তবে মা ও শিশু দু’জনেই ভাল আছে।
[সততাই মূলধন, ২ লক্ষ টাকা পেয়েও ফেরালেন রিকশচালক]
খড়গপুর শহরের বিধানপল্লির বাসিন্দা জ্যোতি শর্মা। বয়স তিরিশের কোটায়। স্বামী পেশায় দিনমজুর। ২০০৮ সালে এপ্রিলে খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালে পুত্রসন্তানের জন্ম দেন জ্যোতিদেবী। পরিবারের লোকেদের দাবি, দ্বিতীয়বার আর মা হতে চাননি তিনি। তাই জন্মনিয়ন্ত্রণ করতে জ্যোতিদেবীর বন্ধাত্বকরণ অস্ত্রোপচার করানো হয়। কিন্তু ফের মা হয়েছেন তিনি। জ্যোতি শর্মার স্বামী রাম শর্মা জানিয়েছেন, চলতি মাসে মেদিনীপুর মে়ডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে কন্যাসন্তানের জন্ম দেন তাঁর স্ত্রী। মা ও শিশু দু’জনেই ভাল আছে। তবে এই ঘটনার বিস্মিত পরিবারের লোকেরা।
[উপহার নিয়ে জেলে হাজির ‘সান্তা’, মুক্তির গান গাইলেন বন্দিরা]
প্রসঙ্গত, এ রাজ্যে লাইগেশন করানোর পরও সন্তানের জন্ম দেওয়ার নজির নতুন নয়। সরকারি নিয়মে প্রসূতিকে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণও দেওয়া হয়। কিন্তু, জ্যোতি শর্মার সেই ক্ষতিপূরণ পাওয়া নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছে। নিয়ম অনুসারে, লাইগেশনের পরেও যদি কোনও মহিলা গর্ভবতী হন, তাহলে একমাসের মধ্যে ক্ষতিপূরণ চেয়ে সরকারি হাসপাতালে আবেদন করতে হয়। চিকিৎসকরা প্রসূতিকে পরীক্ষা করে দেখেন। কিন্তু, জ্যোতিদেবী গর্ভবতী হওয়ার একমাসের মধ্যে ক্ষতিপূরণ চেয়ে সরকারি হাসপাতালের দ্বারস্থ হননি পরিবারের লোকেরা। ডাক্তারি পরীক্ষাও হয়নি। সুতরাং জ্যোতিদেবীর আদৌও লাইগেশন হয়েছিল কিনা, তা এখন আর প্রমাণ করা সম্ভব নয় বলেই মত চিকিৎসকদের একাংশের।
[বিতর্কের অবসান ঘটিয়ে অবশেষে শুরু হল পৌষমেলা]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.