বিক্রম রায়, কোচবিহার: একটি কিংবা দুটি নয়। একসঙ্গে ৫টি সন্তান প্রসব করলেন কোচবিহারের চ্যাংড়াবান্ধার বাসিন্দা এক গৃহবধূ। মেখলিগঞ্জ মহকুমা হাসপাতালে ৫ সন্তানকে জন্ম দিয়েছেন রুবিনা বেগম নামে এক মহিলা। ঘটনার জেরে হইচই পড়ে গেছে মেখলিগঞ্জ মহকুমায়। তবে প্রসবের সময়ে অবশ্য একজনের মৃত্যু হয়। মা ও শিশুদের পাঠিয়ে দেওয়া হয় জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে। জলপাইগুড়ি নিয়ে যাওয়ার পথে আরও একজন শিশুর মারা যায়। তিনজন সন্তান-সহ রুবিনা এখন ভরতি জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালেই।
[মৎসজীবীদের জালে দানবাকৃতির মাছ, নিলামের দর জানলে চোখ কপালে উঠবে]
বৃহস্পতিবার সকালে প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে কোচবিহারের মেখলিগঞ্জ হাসপাতালে ভরতি হন রুবিনা। হাসপাতালের স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অলোক সাঁতরা জানিয়েছেন, এক এক করে পাঁচটি সন্তানের জন্ম দেন তিনি। তবে শারীরিক গঠন সম্পূর্ণ না হওয়ায় একটি সন্তানকে বাঁচানো যায়নি। প্রসবের সময়ই মারা যায় সে। জীবিত চার সন্তানের ওজনও অত্যন্ত কম। তাই মা ও শিশুদের পাঠিয়ে দেওয়া হয় জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে। ঘটনায় রীতিমতো হতবাক রুবিনা বেগমে পরিবারের লোকেরা। তাঁর স্বামী মকসেদ মিয়া পেশায় কৃষক। তিনি জানিয়েছেন, স্ত্রী গর্ভবতী ছিলেন ঠিকই। তবে তাঁর গর্ভে যে পাঁচটি সন্তান বেড়ে উঠছে, তা টের পাননি। বৃহস্পতিবার সকালে প্রসব যন্ত্রণা শুরু হতে যথারীতি রুবিনা নিয়ে যান মেখলিগঞ্জ হাসপাতালে। তড়িঘড়ি তাঁকে ভরতিও করে নেন চিকিৎসকরা। জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে আরও একটি সন্তান মারা যায়। তিন সন্তান-সহ রুবিনা চিকিৎসা চলছিল জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালেই। তবে পাঁচটি সন্তানের জন্ম দেওয়ার পরেও রুবিনা সুস্থই আছেন বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু, একসঙ্গে তিনটি সন্তানকে কীভাবে মানুষ করবেন? তা নিয়ে চিন্তায় পরিবারের লোকেরা।
এদিকে এই ঘটনায় মেখলিগঞ্জে মহকুমা হাসপাতালে পরিকাঠামো নিয়ে প্রশ্ন ওঠেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, হাসপাতালে পরিকাঠামো পর্যাপ্ত নয়। তাই সামান্য শারীরিক সমস্যায়ও রোগীকে জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। দ্রুত মেখলিগঞ্জ মহকুমা হাসপাতালে উপযুক্ত পরিকাঠামো তৈরির দাবি উঠেছে।
ছবি: দেবাশিস বিশ্বাস
[ ওই যে বাবা ঘুমাচ্ছে’, বারাসতে ফিরল রবিনসন স্ট্রিট কাণ্ডের ছায়া]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.