ছবি প্রতীকী
দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: বন্ধুদের দিয়ে স্ত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। নক্কারজনক ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরে। স্বামী ও তাঁর দুই বন্ধুর বিরুদ্ধে সোনারপুর থানার লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন নির্যাতিতা। ইতিমধ্যেই নির্যাতিতার স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে চলছে তল্লাশি।
জানা গিয়েছে, গত বছর অক্টোবর মাসে উত্তর চব্বিশ পরগনার মধ্যমগ্রামের বাসিন্দা ওই যুবকের সঙ্গে বিয়ে হয় বাগদার ওই যুবতীর। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই ওই যুবতীর উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে তাঁর স্বামী। অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে বাধ্য হয়ে বাপের বাড়ি ফিরেও যান ওই বধূ৷ এরপর বিচ্ছেদের মামলা করেন তিনি। সেই মামলা সংক্রান্ত কাজে বুধবার তাঁকে কলকাতা হাই কোর্টে ডেকে পাঠায় তাঁর স্বামী৷ সেই মতো আদালতে পৌঁছন ওই বধূ। জানা গিয়েছে, সন্ধে পর্যন্ত বসিয়ে রাখার পর ওই যুবতির স্বামী তাঁকে বলে, একজন উকিলের বাড়ি যেতে হবে৷ এরপরই স্বামীর দুই বন্ধু তাঁকে একটি গাড়িতে করে সোনারপুরের একটি বাড়িতে নিয়ে যায়।
অভিযোগ, সেখানে দু’দিন আটকে গণধর্ষণ করা হত তাঁকে। পরে শুক্রবার রাতে বধূকে ক্যানিং স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় নিয়ে যায় ওই দুই যুবক। তাদের হাত থেকে বাঁচতে কোনওরকমে পালিয়ে ওই যুবতি স্টেশন চত্বরে ভিড়ের মধ্যে মিশে যান। এরপর ক্যানিং রেল পুলিশের আধিকারিকরদের গোটা বিষয়টি জানান ওই মহিলা। তাঁদের পরামর্শ মেনেই স্বামী ও তাঁর দুই বন্ধুর বিরুদ্ধে সোনারপুর থানায় লিখিত অভিযোগ জানান নির্যাতিতা। বধূর অভিযোগ, মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে ভয় দেখানো হয়েছিল তাঁকে৷ চিৎকার করলে মেরে ফেলা হবে বলা হয়েছিল৷ সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই যুবতির স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ৷ বাকিদের খোঁজে চলছে তল্লাশি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.