ছবি: প্রতীকী
শান্তনু কর,জলপাইগুড়ি: ফের গণধর্ষণের ঘটনায় উত্তেজনা ছড়াল জলপাইগুড়ির ধূপগুড়িতে। ২২ বছরের এক যুবতীকে গণধর্ষণের পর দুষ্কৃতীরা নদীর পাড়ে ফেলে যায় বলে অভিযোগ। বুধবার সকালে তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে ধূপগুড়ি হাসপাতালে ভরতি করা হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে পরে ওই যুবতীকে স্থানান্তরিত করা হয় জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে। নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগে ভিত্তিতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। যদিও এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিবাহিতা ওই যুবতী ধূপগুড়ি ব্লকের গাদং ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের কথাপাড়া এলাকার বাসিন্দা। দুটি সন্তানও আছে তাঁর। পারিবারিক অশান্তি কারণে বাপের বাড়িতে থাকেন তিনি। পরিবারের লোকেদের দাবি, মঙ্গলবার সকালে আচমকাই নিখোঁজ হয়ে যান ওই মহিলা। বহু খোঁজাখুঁজি করেও তাঁর সন্ধান পাওয়া যায়নি।
বুধবার সকালে বামনি নদীর পাড়ে ধূপগুড়ি হাসপাতাল কাছে নির্যাতিতা অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। মেয়েকে উদ্ধার করে ধূপগুড়ি হাসপাতালে ভরতি করেন পরিবারের লোকেরা। পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে দেখে তাঁকে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানকার চিকিৎসকরা ওই যুবতীর শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাত থাকার পাশাপাশি গোপনাঙ্গ থেকে রক্তপাত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন।
এদিকে এই ঘটনা জানতে পেরে জলপাইগুড়ি হাসপাতালে ওই যুবতীকে দেখতে যান সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়ক মমতা রায় ও বামপন্থী নেতা-কর্মীরা। মেয়েটির পাশে দাঁড়িয়ে সবরকম সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়ার পাশাপাশি এই ঘটনায় জড়িতদের কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় প্রবল উত্তেজনা ছড়ালেও কারা জড়িত রয়েছে সেসম্পর্কে এখনও পর্যন্ত কিছু জানতে পারেনি পুলিশ।
গত বছরের অক্টোবর মাসে এক আদিবাসী মহিলাকে গণধর্ষণের অভিযোগে উত্তাল হয়েছিল ধূপগুড়ির মাগুরমারি ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের নিরঞ্জনপাট এলাকা। দিল্লির নির্ভয়া কাণ্ডের মতো এখানেও ধর্ষণের পর যৌনাঙ্গে লোহার রড ঢুকিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে।
যদিও এপ্রসঙ্গে জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতি বলেন, “দুই চিকিৎসকের মেডিক্যাল বোর্ড ওই যুবতীর শারীরিক পরীক্ষা করে এটা ধর্ষণের ঘটনা নয় বলে জানিয়েছেন।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.