ছবি: প্রতীকী
সৌরভ মাজি, বর্ধমান: রাস্তা থেকে হিন্দিভাষী এক তরুণীকে জমিতে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করছিল তিনজন। স্থানীয়দের কয়েকজন তা দেখে দুই দুষ্কৃতীকে ধরে ফেলেন। পরে তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। একজন পালিয়ে গেলেও পরে তাকেও গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থানার চৌবেড়িয়া গ্রামে। নির্যাতিতার মেডিক্যাল টেস্টের আবেদন মঞ্জুর করেছে আদালত।
[ আরও পড়ুন: জঙ্গি সন্দেহে মহারাষ্ট্রে গ্রেপ্তার নদিয়ার যুবক, হতবাক গোটা গ্রাম]
শুক্রবার গভীর রাতে মেমারি-তারকেশ্বর রোড ধরে হেঁটে যাচ্ছিলেন ওই তরুণী। রাস্তা ফাঁকাই ছিল। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, রাস্তা থেকে ওই তরুণীকে পাশের ধানখেতে নিয়ে যায় তিনজন যুবক। সেখানে তাঁকে ধর্ষণ করা হয়। ঘটনাচক্রে তখন হুগলির ত্রিবেণী থেকে বাঁকের কলসিতে জল নিয়ে গ্রামে ফিরছিলেন বেশ কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা। চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁরা দেখেন, ওই তরুণীর উপর পাশবিক নির্যাতন চালাচ্ছে তিন যুবক। দু’জনকে ধরে ফেলেন স্থানীয় বাসিন্দারা, আর একজন পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে নির্যাতিতা উদ্ধার করে পুলিশ। দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে ধরা পড়ে পলাতক অভিযুক্তও। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, নির্যাতিতা তরুণীর বাড়ি দিল্লিতে জেজে নগরে। কিন্তু, তিনি বর্ধমানে জামালপুরে কীভাবে এলেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, পুলিশে কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি হিন্দিভাষী ওই তরুণী। তবে তাঁর বয়ান ও গ্রামবাসীদের অভিযোগের ভিত্তিতে গণধর্ষণের মামলা দায়ের করে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন রাতে বর্ধমানের মশাগ্রাম স্টেশন থেকে হেঁটে ফিরছিলেন ওই তরুণী। মাঝ-রাস্তায় দুই অভিযুক্ত হারাধন কিস্কু, কালীরাম সোরেন নামে দুই অভিযুক্তের সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর। ঘটনাস্থলের কাছে অপর অভিযুক্ত সমীর পাত্রের চায়ের দোকান। সেই দোকানে অভিযুক্তের সঙ্গে চা খান ওই তরুণীও। এরপরই চায়ের দোকানের পিছনে জমিতে তুলে নিয়ে গিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করা হয়। নির্যাতিতার বাড়ির ঠিকানার খোঁজ করছে পুলিশ। ওই তরুণী মানসিক ভারসাম্যহীন কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
[ আরও পড়ুন: ভোট সচেতনতায় জলযান, নৌবিহারেই শেখানো হল ভিভিপ্যাটের ব্যবহার]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.