অর্ণব দাস, বারাসত: পর্নফিল্ম শুটিং হওয়ার কথা জানতে পারায় গণধর্ষণের শিকার যুবতী। ধর্ষণের ভিডিও ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়। সুবিচারের দাবিতে বারাসত মহিলা থানার দ্বারস্থ হন মহিলা। তবে পুলিশ অভিযোগ নেয়নি বলেই দাবি তাঁর। শেষমেষ বৃহস্পতিবার নির্যাতিতা বারাসত জেলা পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হন। ওই রাতেই গ্রেপ্তার হয় সাত অভিযুক্ত। কর্তব্যের গাফিলতির অভিযোগে ক্লোজ করা হয় এক মহিলা এসআইকে। তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত করা হবে।
পেশায় নৃত্যশিল্পী মধ্যমগ্রামের বাসিন্দা ওই যুবতীর সঙ্গে বছর দেড়েক আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় আলাপ হয় বারাসতের ন’পাড়ার বাসিন্দা সনাতন বিশ্বাসের। সনাতনেরও একটি নাচের স্কুল আছে। সেই সূত্রেই সনাতনের বাড়িতে যাতায়াত শুরু হয় যুবতীর। অভিযোগ, এরপরই যুবতী জানতে পারেন সনাতনের স্ত্রী পর্নফিল্ম শুটিং করে। অভিযোগ, যুবতী ওই বিষয়টি জানতে পারায় সনাতন তাকে ধর্ষণ করে। এমনকী ভিডিও করে রাখা হয় বলেও অভিযোগ। এরপর সেই ভিডিও দেখিয়ে তাঁকে লাগাতার ব্ল্যাকমেল করা হয়। একাধিকবার তরুণীকে গণধর্ষণ করা হয় বলেও অভিযোগ। এবং কয়েক দফায় টাকাও নেওয়া হয় বলেই দাবি তাঁর।
গত ১২ আগস্ট তরুণী বারাসত মহিলা থানায় অভিযোগ জানাতে যান। তখন তাঁর অভিযোগ নেওয়া হয়নি বলেই দাবি নির্যাতিতার। পরে অবশ্য গত ২৬ আগস্ট পুলিশের দ্বারস্থ হলেও তদন্ত হয়নি বলেই অভিযোগ নির্যাতিতার। শেষে নির্যাতিতা বৃহস্পতিবার বারাসত পুলিশ জেলার সুপারের দ্বারস্থ হন। পুলিশ সুপারের তৎপরতায় রাতেই সনাতন বিশ্বাস, তার স্ত্রী-সহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। কর্তব্যের গাফিলতির জন্য বারাসত মহিলা থানার এসআই বর্ণালী দাসকে ক্লোজ করা হয় বলেও জানা গিয়েছে।
এদিনই ধৃতদের বারাসত আদালতে তোলা হয়। বিচারক দু’জনকে তিনদিনের পুলিশ হেফাজত এবং বাকিদের ১৪দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। যদিও অভিযুক্তদের দাবি, তাদেরকে ফাঁসানো হয়েছে। বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রাখার জন্য জোর করছিলেন ওই তরুণী। আর সেই সম্পর্ক রাখতে না চাওয়ায় সকলকে গণধর্ষণের মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.