স্টাফ রিপোর্টার, বাঁকুড়া: মাকে শ্বাসরোধ করে খুন করার অভিযোগ উঠল ছেলের বিরুদ্ধে৷ সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার ইন্দাস থানা এলাকার বাগিচাবাঁধ গ্রামে৷ অভিযোগ বিদ্যুতের তার পেঁচিয়ে মাকে খুন করার পর অভিযুক্ত বিক্রম মণ্ডল এক প্রতিবেশির বাড়িতেও হামলা চালায়৷ শাবল দিয়ে বেধড়ক মারধর করে পড়শি এক বালিকাকে৷ গুরুতর জখম অবস্থায় ওই বালিকাকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে৷ পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত জেরায় খুনের কথা স্বীকার করেছে৷ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷ তদন্ত চলছে৷ তবে খুনের পরও যেভাবে বিক্রম ভাবলেশহীনভাবে ঘরে ঢুকে পড়ে তাতে বিস্মিত এলাকার বাসিন্দারা৷ যদিও বিক্রমের বাবার দাবি, সে মানসিক বিকারগ্রস্ত৷
ঘটনার সূত্রপাত সোমবার রাত ৮ টা নাগাদ৷ তখন বাড়িতে বিক্রমের বাবা হারাধনবাবু ছিলেন না৷ সেই সময় মা মিতা মণ্ডলের সঙ্গে আচমকাই বচসা বাধে বিক্রমের৷ ঝগড়া চলাকালীন সে বিদ্যুতের একটি তার মায়ের গলায় পেঁচিয়ে ধরে শ্বাসরোধ করে খুন করে বলে অভিযোগ৷ বাড়িতে মায়ের মৃতদেহ ফেলে রেখে একটি শাবল নিয়ে সে বেরিয়ে পড়ে৷ হানা দেয় এক প্রতিবেশীর বাড়িতে৷ ওই বাড়ির প্রিয়াঙ্কা মণ্ডল (১২) নামে এক বালিকাকে শাবল দিয়ে মারধর করে৷ মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়েছে প্রিয়াঙ্কা৷ তাকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে৷
স্থানীয়দের দাবি, এরপর স্বাভাবিকভাবেই বিক্রম বাড়ি ফিরে আসে৷ মাকে খুন বা পড়শি বালিকাকে মারধর নিয়ে তার মধ্যে কোনও অনুতাপ দেখা যায়নি৷ স্থানীয়রাই পুলিশে খবর দেন৷ পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে৷ গ্রেপ্তার করে বিক্রমকে৷ যদিও বিক্রমের বাবা প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক হারাধন মণ্ডলের দাবি, তাঁর ছেলে মানসিক অবসাদে ভুগছিল৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.