শংকর কুমার রায়, রায়গঞ্জ: মানসিক ভারসাম্যহীন এক বধূর গলাকাটা মৃতদেহ উদ্ধার নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়াল উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জের জিনগাওঁ এলাকায়। আত্মহত্যা না খুন, সে নিয়ে রহস্য দানা বেঁধেছে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। তবে এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।
মঙ্গলবার সকালে নিজের ঘর থেকেই বছর তেইশের মাহারুন খাতুনের গলাকাটা মৃতদেহ উদ্ধার করেছে কালিয়াগঞ্জ থানার পুলিশ। এলাকায় স্থানীয়দের ভিড় জমে যায়। পুলিশ সূত্রে খবর, ঘরের মেঝেতে পড়েছিল বধূর দেহ। এবং দেওয়ালের চারদিকে রক্ত ছড়িয়ে ছিল। তাই মৃতার মা তসলিমার অভিযোগ, তাঁর মেয়েকে খুনও করা হয়ে থাকতে পারে। থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে এই ঘটনা খুন নাকি আত্মহত্যা, তা খতিয়ে দেখার আরজি জানিয়েছেন তিনি।
তসলিমা জানান, মাহারুন দীর্ঘদিন ধরেই মানসিক রোগে আক্রান্ত। মাস তিনেক আগে মাহারুনের সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দা আজিম মহম্মদের বিয়ে হয়। তার কিছুদিনের মধ্যে বিচ্ছেদও হয়ে যায়। তারপর থেকে স্বামীর সঙ্গে কোনও যোগাযোগ ছিল না তাঁর। সোমবার সন্ধেয় বাড়িতে কেউ না থাকার সময়ই ধান কাটার কাস্তে দিয়ে কেউ মেয়ের গলার নলি কেটে দিয়ে পালিয়েছে বলে অভিযোগ মায়ের। তাঁর সন্দেহ জামাই আজিমই এ কাণ্ড ঘটিয়েছে। যদিও তিনি লিখিত অভিযোগে আমিজের নাম উল্লেখ করেননি। পুলিশও প্রাথমিকভাবে মনে করছে, এভাবে আত্মহত্যা করা কঠিন কাজ। তাই খুন করা হয়ে থাকতে পারে মাহারুনকে বলে অনুমান পুলিশ। কালিয়াগঞ্জ থানার আইসি বিচিত্র বিকাশ রায় জানান, মৃতদেহ উদ্ধার করে রায়গঞ্জ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে পাঠানো হয়। একজন ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতেই ময়নাতদন্ত হবে। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই জানা যাবে, বধূকে হত্যা করা হয়েছে, নাকি তিনি আত্মহনন করেছেন। তবে মাহারুনের মৃত্যুর পর থেকে পলাতক আজিম মহম্মদ। তাঁর খুঁজে বের করার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.