সুব্রত বিশ্বাস: কৃষ্ণনগর (Krishnagar) স্টেশন সংলগ্ন ইয়ার্ডের রেললাইনের ধার থেকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হল বছর ত্রিশের এক মহিলাকে (Woman)। তাঁর হাত-পা বাঁধা ছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে। মহিলাকে কাঁথা মুড়ি দেওয়া অবস্থায় দেখতে পান স্থানীয়রা। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, তাঁকে কেউ ফেলে রেখে গিয়ে থাকতে পারে। রেল ইয়ার্ডের মালগাড়ির লাইনের উপর দেখতে পান ওই মহিলাকে।
তাঁকে উদ্ধার করে পাশের একটি ক্লাবের বারান্দায় নিয়ে রাখেন। খবর পেয়ে জেলা পুলিশের কোতোয়ালি থানার পুলিশ হাসপাতালে নিয়ে যায়। পুলিশ জানিয়েছে, মহিলার পরিচয় জানার পর পরিবারকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ ও ওই মহিলার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই মহিলার শ্বশুরবাড়ি কোতোয়ালি থানা এলাকায়। বাপের বাড়ি কৃষ্ণগঞ্জ থানা এলাকায়। বছর দশেক আগে তাঁর বিয়ে হয়। দুই সন্তান (Children) আছে। বছর দু’য়েক আগে অশান্তির জেরে বাপের বাড়ি চলে আসেন। সেখানেই থাকেন। এরই মধ্যে তাঁর স্বামী আবার বিয়ে করেন। মহিলার মানসিক সমস্যাগ্রস্ত (Mentally depressed) বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মহিলার মা জানাচ্ছেন, ”মেয়ে মানসিকভাবে অসুস্থ। বৃহস্পতিবার সে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। সঙ্গে মোবাইল ছিল না বলে যোগাযোগ করতে পারছিলেন না। সোমবার সকালে পুলিশ খবর দিল যে আমার মেয়ে হাসপাতালে ভর্তি। অচৈতন্য অবস্থায় সে কী ভাবে রেললাইনে এল, সেটাই বুঝতে পারছি না।” রবিবার রাত পর্যন্ত পরিবারের তরফে কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি।
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, ঘুমের ওষুধ বা মাদক খাইয়ে ওই মহিলাকে অচৈতন্য করা হযে পারে। প্রমাণ লোপাটের জন্য তাঁকে রেল লাইনের উপরে হাত-পা বেঁধে ফেলে রেখে যাওয়া হতে পারে। যাতে ট্রেনের ধাক্কায় তাঁর মৃত্যু হয়। মহিলা কথা বলার অবস্থায় না-থাকায় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারছে না পুলিশ। তাঁর সঙ্গে কথা বলে প্রকৃত ঘটনা জানার চেষ্টা করা হবে। তবে হাত পা বাধা ছিল বলে স্থানীয়দের দাবি। পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে। মানসিক রোগী হওয়ায় কাঁথা মুড়ি দিয়ে লাইন ধারে শুয়ে থাকতে পারে বলে মনে করেছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.