চপলা হাজরা। নিজস্ব চিত্র
জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: নাতিকে হাসপাতালে ভর্তি করার পর থেকেই নিখোঁজ দিদিমা। ২৪ ঘণ্টা পর হাসপাতাল সংলগ্ন শৌচাগার থেকে উদ্ধার মৃতদেহ। বুধবার সকালে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য বনগাঁ মহকুমা হাসপাতাল চত্বরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বনগাঁ থানার পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃত মহিলার নাম চপলা হাজরা। বয়স ৪২ বছর। বাড়ি বাগদা থানার নাটাবেড়িয়া এলাকায়। পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বছর তিনের অসুস্থ নাতি সৌরভ বিশ্বাসকে নিয়ে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতাল এসেছিলেন তিনি। হাসপাতালে ভর্তি করার পর প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র আনতে স্বামীর সঙ্গে হাসপাতালের পাশে একটি দোকানে যান। দোকান থেকে স্বামী ফিরে এলেও দেখেন পিছনে তাঁর স্ত্রী নেই। সঙ্গে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে মাইকে বারবার ঘোষণা করেন। খোঁজাখুঁজিও করেন। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি।
চপলা দেবীর স্বামী স্বামী কাজল হাজরা বলেন, “হাসপাতালের মাইকে ঘোষণা করি। পুলিশ ফাঁড়িতে এবং বনগাঁ থানায় নিখোঁজ মামলা করতে গেলেও কেউ অভিযোগ নেয়নি। হাসপাতাল চত্বর ও বনগাঁ স্টেশন চত্বরে গিয়ে খোঁজাখুঁজি করি।” তাঁর অভিযোগ, “হাসপাতাল সংলগ্ন সুলভ শৌচাগারে তিনবার গিয়ে খোঁজার চেষ্টা করলেও সেখানকার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তি শৌচালয়ে ঢুকতে দেননি। সকালে খবর পেয়ে দেখি হাসপাতাল চত্বরে শৌচালয়ের মধ্যে মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে চপলা। ভিতরে ঢুকতে দিলে হয়তো স্ত্রীকে প্রাণে বাঁচাতে পারতাম।” বনগাঁ থানার পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশায় মৃতার পরিবার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.