অভিষেক চৌধুরী, কালনা: এবার দুয়ারে হাজির ‘দেবী লক্ষ্মী’! তিনিই বিলি করলেন ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে’র (Laxmi Bhandar) ফর্ম। আবার জমাও নিলেন তিনি। ব্যাপারখানা কী?
শনিবার লক্ষ্মী দেবীর দর্শন পাওয়া গেল কালনার (Kalna) ধাত্রীগ্রামের দুয়ারে সরকারে। খবর পেয়ে সরকারি প্রকল্পের সুবিধা নিতে আসা মানুষজনই শুধু নয়, লক্ষ্মীকে একবার চোখের দেখা দেখতে ভিড় জমান এলাকার মানুষজন। লক্ষ্মীরূপী মডেলকে ঘিরে সাজ সাজ রব পড়ে যায় ধাত্রীগ্রাম এলাকায়।
‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’-সহ সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা দিতে ধাত্রীগ্রাম বালিকা বিদ্যালয়ে ‘দুয়ারে সরকারে’র (Duare Sarkar) শিবির বসেছে। আর সেখানে সাড়ম্বরে ঢাক-ঢোল বাজিয়ে স্বাগত জানানো হয়েছে লক্ষ্মীরূপী মডেলকে। এদিন ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে’র ফর্ম হাতে আবিভূর্ত হন তিনি। দূরদূরান্ত থেকে এসে রোদে গরমে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা মহিলাদের শুধু ফর্ম দিয়েই সহযোগিতা করেছেন এমন নয়। প্রয়োজনে ফর্ম পূরণও করে দিয়েছেন অনেকের। এছাড়াও তাঁদের সুবিধা-অসুবিধার খোঁজ খবর নিয়ে সমাধানেরও চেষ্টা করেন। ধাত্রীগ্রাম পঞ্চায়েতের এমনই এক অভিনব উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সকলেই।
এদিন লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা সীমা দেবনাথ, রাধারানী বসাকরা বলেন, ‘স্বয়ং মা লক্ষ্মী ফর্ম হাতে নিয়ে আমাদের দিতে এলে আশ্চর্য হয়ে যাই। প্রথমে তো ধরতেই পারিনি। মনে মনে ভাবতে থাকি এটা কী করে সম্ভব? পরে জানতে পারি শান্তিপুর নিবাসী মৌসুমী অধিকারী নামের ওই গৃহবধূ এদিন ‘লক্ষ্মী’ সাজে এসে সকলকে সহযোগিতা করেছেন।” মৌসুমী অধিকারী নামের ওই শিল্পী বলেন, “মানুষকে এইভাবে সহযোগিতা করতে খুবই ভাল লাগে। মানুষকে খুশি করতে পেরে নিজেরও ভাল লাগছে।”
ধাত্রীগ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সৌমিত্র গুপ্ত বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ফর্ম দিতে পঞ্চায়েতের উদ্যোগে এদিন স্বয়ং মা লক্ষ্মী হাজির হন দুয়ারে সরকারের ক্যাম্পে। তিনিই নিজের হাতে সকলকে ফর্ম দেওয়ার পাশাপাশি বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেন।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.