সুব্রত বিশ্বাস: কানে হেডফোন (Head phone) গুঁজে রেললাইন পেরচ্ছিলেন বছর কুড়ির তরুণী। দুরন্ত গতিতে আসছিল ট্রেন। হেডফোন থাকায় ট্রেনের বাঁশির শব্দ শুনতে পাননি তিনি। ফলে ঘটে গেল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। ট্রেনের ধাক্কায় প্রাণ হারালেন তরুণী। সকালে বারাকপুরের (Barrackpore) রেল স্টেশনের এই ঘটনায় বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি। বেশ কিছুক্ষণ ব্যাহত হয় শিয়ালদহ আপ ও ডাউন লাইনের ট্রেন চলাচল।
রেল পুলিশ সূত্রে খবর, দুর্ঘটনায় মৃত তরুণীর নাম শ্বেতশ্রী বিশ্বাস। তাঁর বয়স কুড়ি বছর, তালপুকুর এলাকার বাসিন্দা। স্থানীয় কলেজের ছাত্রী। মঙ্গলবার সকালে তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিজের কাজে যাচ্ছিলেন। সেসময় একটি আপ ট্রেন অর্থাৎ শিয়ালদহের দিক থেকে বারাকপুর আসছিল তীব্র গতিতে। কানে হেডফোন নিয়েই রেললাইন পেরচ্ছিলেন শ্বেতশ্রী। আশেপাশের লোকজন তাঁকে সতর্ক করেন। কিন্তু কিছুই শুনতে পায়নি ওই তরুণী। ফলে যা হওয়ার তাই। ট্রেনের ধাক্কায় রেললাইনে উপর ছিটকে পড়েন শ্বেতশ্রী।
পথচলতি মানুষজন তাঁকে উদ্ধার করে সঙ্গে সঙ্গে নিকটবর্তী বিএন বসু মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু বাঁচানো যায়নি। চিকিৎসকরা প্রাথমিকভাবে পরীক্ষা করেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুজোর আগে মেয়ের এই মর্মান্তিক পরিণতিতে স্বভাবতই ভেঙে পড়েছেন পরিবারের সদস্যরা।
তবে শ্বেতশ্রীর মতো পরিণতি নতুন নয়। বারবার পথ নিরাপত্তা নিয়ে সচেতনতা প্রচার সত্ত্বেও বিশেষ সতর্ক হননি মানুষজন, তার প্রমাণ মিলেছে আগেও। রেলট্র্যাকে উঠে সেলফি তোলা কিংবা হেডফোন কানে গুঁজে রেললাইন পারাপার অথবা ফোনে কথা বলতে বলতে রাস্তা পেরনো – নানা সময়ে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন অনেকেই। শ্বেতশ্রী বিশ্বাস সেই তালিকায় নয়া সংযোজন মাত্র। এরপরও কি হুঁশ ফিরবে? উঠছে সেই অমোঘ প্রশ্ন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.