সোমনাথ পাল, বনগাঁ: পড়াতে এসে গৃহবধূ ও তাঁর নাবালিকা কন্যাকে দিনের পর দিন ধর্ষণ। এই নক্ক্যারজনক ঘটনায় অবশেষে গ্রেপ্তার অভিযুক্ত। ধৃতের নাম সাবির আলি মণ্ডল। সে স্থানীয় বৈরামপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। রবিবার রাতেই নির্যাতিতা গৃহবধূর অভিযোগে ভিত্তিতে গোপালনগর থানার পুলিশ সাবির আলিকে গ্রেপ্তার করে। সোমবার ধৃতকে আদালতে তোলা হলে পাঁচদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। ঘটনাটি উত্তর ২৪ পরগনার গোপালনগরের বৈরামপুর এলাকার।
জানা গিয়েছে, মেয়ের গৃহশিক্ষকের দরকার ছিল। তাই গ্রামের স্কুলের শিক্ষক সাবির আলিকেই নিযুক্ত করেছিলেন দম্পতি। সাবির আলি এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তি। স্কুলে পড়ানোর পাশাপাশি টিউশনিও করে। ভেবেছিলেন, মেয়ে তার কাছে পড়লে ভালই হবে।অভিযোগ, একদিন পড়াতে এসে ছাত্রীর মাকে একা পেয়ে ধর্ষণ করে অভিযুক্ত শিক্ষক। তবে এই অসম্মান একদিনের ছিল না। পড়াতে এসে প্রায় দিনই গৃহবধূর উপরে শারীরিক নির্যাতন চালাত অভিযুক্ত। নাবালিকা ছাত্রী একদিন দেখে ফেলায়, সেও শিক্ষকের কোপে পড়ে। ছাত্রীকেও ধর্ষণ করে অভিযুক্ত। ধর্ষণের ভিডিও করে রাখে। পুলিশে জানালে এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও দেয় ধর্ষক শিক্ষক। একে প্রভাবশালী শিক্ষক, তায় আবার লোকলজ্জার ভয়। তাই মুখ বন্ধ করেছিল গোটা পরিবার। কিন্তু অত্যাচারের মাত্রা সীমা ছাড়িয়ে গেলে গ্রামের মাতব্বরদের জানান নির্যাতিতা গৃহবধূর স্বামী। সালিশিও বসে। সেখানে টাকা দিয়ে বিষয়টি মিটামাট করতে বাধ্য করা হয়। এরপর আর চুপ করে থাকেননি ওই গৃহবধূ। রবিবার গোপালনগর থানায় গিয়ে শিক্ষকের বিরুদ্ধে মা-মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন। ওইদিন রাতেই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সোমবার ধৃতকে আদালতে তোলা হলে পাঁচদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। এতদিনের অত্যাচারের পর অভিযুক্ত গ্রেপ্তার হওয়ায় ধৃতের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে নির্যাতিতার পরিবার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.