ছবি: প্রতীকী
রিন্টু ব্রহ্ম, কালনা: হবু বউমার উচ্চতা ছেলের থেকে বেশি। এটা জানার পর থেকেই বিয়েতে আপত্তি করেছিলেন মা। তবে মায়ের সে আপত্তিকে গ্রাহ্য করেনি ছেলে। কেননা প্রথমবার দেখতে গিয়েই ওই তরুণীকে ভাল লেগে যায় পাত্রের। তাই সেখানেই বিয়ের কথা পাকা করে আসেন তিনি। ছেলের এই সিদ্ধান্তে খুশি না হলেও অমত করেননি মা। এদিকে, মায়ের অমতেই বিয়ের প্রস্তুতি শুরু করে দেয় ছেলে। বিয়ের দিন যত এগিয়ে আসছিল ততই মায়ের মুখ ভার হচ্ছিল। শেষপর্যন্ত অপছন্দের পাত্রীকে ছেলের বউ হিসেবে মেনে নিতে হবে ভাবতে পারেননি তিনি। তাই অভিমানে আত্মঘাতী হলেন। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে কালনার পূর্বস্থলীর পাটুলিতে।
মৃত মহিলার নাম আন্না মজুমদার(৩৯)। ঘরের মধ্যে ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। সঙ্গে সঙ্গে কালনা থানায় খবর গেলে সোমবার পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কালনা মহকুমা হাসপাতালে পাঠিয়েছে। মৃতের স্বামী মঙ্গল মজুমদার জানান, সামনেই ছেলের বিয়ে। হবু বউমা ছেলের থেকে উচ্চতায় বেশি। তাই তার মায়ের পছ্ন্দ ছিল না। কিন্তু পাত্রী দেখে পছন্দ হওয়ায় মায়ের অনিচ্ছাকে গুরুত্ব দেয়নি ছেলে।পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও বিয়েতে রাজি ছিলেন। এদিকে আন্নাদেবীর মতকে এভাবে অগ্রাহ্য করে বিয়ে হচ্ছে, মানতে পারেননি ওই মহিলা। তাই গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন।
প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, সম্প্রতি বন্ধুর বিয়েতে গিয়েছিলেন ওই যুবক। সেখান থেকে ফেরার পরই নিজে বিয়ে করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। ছেলের কথা শুনে মজুমদার দম্পতি পাত্রী দেখার ব্যবস্থা করেন। স্থানীয় এক তরুণীর খোঁজ মেলে।বাড়ির সকলে একসঙ্গেই পাত্রী দেখতে গিয়েছিলেন। তরুণীকে পছ্ন্দ হলেও তাঁর উচ্চতা দেখে বেঁকে বসেন আন্না মজুমদার। তবে পাত্রীকে দেখে ভাল লেগে যায় ছেলের। বাড়িতে আসার পর মা-ছেলের বচসাও হয়েছিল, কিন্তু বিয়ের সিদ্ধান্ত আটকায়নি। তবে এই অমতের পিছনেও একটা কারণ রয়েছে, মৃত মহিলা স্বামী মঙ্গল মজুমদারের থেকে উচ্চতায় বেশি ছিলেন। আর সেজন্য নাকি তাঁর স্বামীকে গঞ্জনাও শুনতে হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.