সুমা ঘোষ। নিজস্ব চিত্র
অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: এক বধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল ডোমজুড়ের খটিরবাজার এলাকায়। পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের বেশ কয়েক বছর পরও সন্তান না হওয়ায় তাঁকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দিত শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা। লাঞ্ছনা সহ্য করতে না পেরে গলায় দড়ি দিয়েছেন ওই যুবতী।
সোমবার রাতে সুমা ঘোষ নামে বছর তেত্রিশের ওই মহিলার দেহ তাঁর শ্বশুরবাড়ির ঘর থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। গৃহবধূর বাপের বাড়ির তরফে অভিযোগ, কোনও সন্তান না হওয়ায় গৃহবধূর স্বামী জয়ন্ত ঘোষ ও তাঁর বাড়ির লোকেরা নিত্যদিন মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করত। আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিত। তাই মানসিক যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে তাঁদের বাড়ির মেয়ে শ্বশুরবাড়িতে নিজের ঘরে গলায় কাপড় জড়িয়ে সিলিংয়ের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে।আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ করে সুমাদেবীর ভাই সঞ্জয় বোস ডোমজুড় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। সুমার স্বামী জয়ন্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
জগাছার গড়পার বাসিন্দা সঞ্জয়বাবু মঙ্গলবার জানালেন, ২০১৫ সালে তাঁর দিদির বিয়ে হয় ডোমজুড়ের খটিরবাজারের বাসিন্দা হাওড়া পুরসভার সাফাই কর্মী জয়ন্ত ঘোষের সঙ্গে। সোমবার রাতে সুমাদেবীর শ্বশুরবাড়ি থেকে সঞ্জয়বাবুকে জানানো হয় তাঁর দিদি আর নেই। সঞ্জয়বাবু তাঁর দিদির শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে দেখেন, তাঁদের একতলার বাড়িতে দিদির ঘর থেকে ততক্ষণে পুলিশ তাঁর দিদির ঝুলন্ত দেহ নামিয়ে ফেলে ময়নাতদন্তে পাঠাচ্ছে। এর পর সন্দেহ হওয়াতেই সঞ্জয়বাবু তাঁর দিদির শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.