শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: স্বামী ভিনরাজ্যে। বাড়ি থেকে উদ্ধার স্ত্রী ও দুই সন্তানের নিথর দেহ। বিষ খাইয়ে তাঁদের খুন করা হয় বলেই অভিযোগ। কাঠগড়ায় মহিলার শ্বশুর, শাশুড়ি ও ননদ। তাদের আটক করেছে পুলিশ। উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জের ধনকৈল শংকরপুরের ঘটনায় জোর শোরগোল।
শুক্রবার সকালে নিজের বাড়ির শোওয়ার ঘরে গৃহবধূ ময়না বর্মন, তাঁর বড় মেয়ে এবং ছোট ছেলের দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। নিহত গৃহবধূর শ্বশুরবাড়ির লোকজন চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করেন। প্রতিবেশীরা জড়ো হয়ে যান। খবর পেয়ে কালিয়াগঞ্জ থানার বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। দেহ তিনটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। পুলিশ বধূর শ্বশুর গোপাল বর্মন, শাশুড়ি শ্যামলী বর্মন এবং ননদকে আটক করে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
নিহত বধূর দিদি সুনীতা বর্মনের দাবি, বিয়ের পর থেকেই পণের দাবিতে ময়নার উপর তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন অত্যাচার করত। স্বামী কর্মসূত্রে হরিয়ানায় চলে যাওয়ার পর থেকে বাড়তে থাকে অত্যাচারের মাত্রা। বিষ খাইয়ে বধূ ও তাঁর দুই সন্তানকে খুন করা হয় বলেই অভিযোগ। যদিও বধূর শ্বশুরবাড়ির লোকজন অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.