Advertisement
Advertisement

Breaking News

Bankura

তরুণীকে বাড়িতে ২ দিন আটকে রেখে ‘ধর্ষণ’, গ্রেপ্তার বাঁকুড়ার তৃণমূল নেতা

অভিযোগ ওঠামাত্রই দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে তাঁকে।

Woman allegedly raped by TMC leader in Bankura

প্রতীকী ছবি

Published by: Sayani Sen
  • Posted:September 14, 2024 9:30 am
  • Updated:September 14, 2024 9:30 am  

অসিত রজক, বিষ্ণুপুর: বছর উনিশের এক তরুণীকে বাড়িতে ২ দিন আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ।  কাঠগড়ায় বাঁকুড়ার সোনামুখী পঞ্চায়েত সমিতির বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষ তথা সোনামুখী ব্লক তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি নারায়ণ মিত্র ওরফে ঝন্টু। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই নড়েচড়ে বসে পুলিশ প্রশাসন। শুক্রবার বিকেলে দোষীর শাস্তি দাবি করে সোনামুখী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই তরুণী। তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তড়িঘড়ি নারায়ণ মিত্রকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে তৃণমূলের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিক্রমজিৎ চট্টোপাধ্যায় নারায়ণ মিত্রকে সোনামুখী ব্লক শ্রমিক সংগঠনের সভাপতির পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে তিনি সোনামুখীর বিডিওকে পঞ্চায়েত সমিতির সমস্ত পদ থেকে বহিষ্কারের নির্দেশও দিয়েছেন।

ওই তরুণীর বাবার সঙ্গে নারায়ণ মিত্রের ভালোই সম্পর্ক। প্রায় ১৫-১৬ বছর ধরে সম্পর্ক ছিল। সেই সুবাদেই তরুণীর বাড়িতে যাতায়াতও ছিল নারায়ণের। তরুণীও তৃণমূল নেতার বাড়িতে যেতেন। তবে গত দুদিন ওই তরুণী আর বাড়ি ফেরেননি। ঠিক দুদিন পর তিনি বাড়িতে ফিরে জানান, নারায়ণ মিত্র ওরফে ঝন্টু তাঁকে জোর করে বাড়িতে আটকে রেখে ধর্ষণ করেছে। ইতিমধ্যেই নারায়ণ মিত্র তরুণীর বাবাকে মুখ বন্ধ করার জন্য ৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার টোপও দেয়। কিন্তু তরুণী টাকা নিতে অস্বীকার করেন। অভিযোগ, নারায়ণ তরুণীর বাবা ও মাকে বিভিন্নরকমভাবে ভয় দেখাতে থাকে। রাজনৈতিক প্রভাব খাটাতে থাকে বলেও অভিযোগ। তাতেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন তরুণীর বাবা-মা। এর পর সুবিচারের দাবিতে একাই পুলিশের দ্বারস্থ হন নির্যাতিতা। সোনামুখী পঞ্চায়েত সমিতির বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষ নারায়ণ মিত্র ওরফে ঝন্টুর নামে অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই পুলিশ অভিযুক্তকে শুক্রবার গ্রেপ্তার করে।

Advertisement

এই বিষয়ে সোনামুখীর বিজেপি বিধায়ক দিবাকর ঘরামি বলেন, “যেখানেই ধর্ষণ সেখানেই তৃণমূল। এখন তৃণমূল এবং ধর্ষণ সমার্থক শব্দ হয়ে গিয়েছে। আমি মেয়েটির বাড়িতে গিয়েছিলাম। ওর সঙ্গে এবং বাবা-মার সঙ্গে কথা বলেছি। ওঁরা প্রচন্ড ভয়ে রয়েছেন। আমি বলেছি ভয় পাবেন না সত্যি ঘটনাকে সামনে আসতে দিন। আমরা আপনাদের পাশে সব সময় আছি। তৃণমূল অভিযুক্তকে সাসপেন্ড করলেও তা শুধুমাত্র লোকদেখানো। সপ্তাহ দুই পর আবার অভিযুক্তকে তৃণমূলের পতাকা হাতে নিয়ে ঘুরতে দেখা যাবে। এদের লজ্জা নেই।” 
বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি বিক্রমজিৎ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমি জানতে পারি আইএনটিটিইউসি-র সোনামুখী ব্লকের সভাপতির বিরুদ্ধে ধর্ষণ অভিযোগ উঠেছে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। অত্যন্ত লজ্জার ঘটনা। আইন আইনের কাজ করবে।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement