ছবি: প্রতীকী।
বিক্রম রায়, কোচবিহার: হঠাৎ মাসছয়েকের সন্তান কোলে নিয়ে বাসের সামনে ঝাঁপ এক গৃহবধূর। উদ্দেশ্য যে আত্মঘাতী হওয়ার তা বুঝতে দেরি হয়নি বাসচালকের। মুহূর্তের মধ্যে ব্রেক কষে দেওয়ায় প্রাণ বাঁচে সেই শিশু এবং তার মায়ের। তা দেখে হতবাক ট্রাফিক পুলিশের কর্মী এবং সিভিক ভলান্টিয়াররা। দ্রুত তাঁদের তৎপরতায় ওই মহিলা এবং শিশুকে উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনার জেরে ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায় কোচবিহারের সুনীতি রোডের ব্রাহ্মমন্দির সংলগ্ন চৌপথিতে।
সন্তান-সহ ওই গৃহবধূকে উদ্ধারের পর পুলিশকর্মীরা এই ধরনের আচরণের কারণ জানতে চান। তার পরেই সেই গৃহবধূ যা দাবি করেন তাতে হতবাক পুলিশকর্মীরাও। ট্রাফিক পুলিশের কর্মীদের ওই গৃহবধূ জানান, তিনি শীতলকুচির বাসিন্দা। বছর দুয়েক আগে তাঁর মাথাভাঙার এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে হয়। তাঁদের ছয় মাসের সন্তান রয়েছে। সম্প্রতি তার অন্নপ্রাশনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠানে অতিথিদের খাবার খরচ শ্বশুরবাড়ি এবং বাপের বাড়ি দুই পক্ষ মিলেই করেছিল। তবে অনুষ্ঠানের শেষের দিকে কিছু অতিথিদের জন্য মাছ পর্যাপ্ত না থাকার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিবাদ শুরু হয়।
তার জেরে ওই গৃহবধূর বাপের বাড়ির উপর দোষারোপ করা হয়। অভিযোগ, অন্নপ্রাশনের অনুষ্ঠান চলাকালীন তাকে বেধড়ক মারধর করে শ্বশুরবাড়ির লোকজনেরা। তা সহ্য করতে পারেননি। তিনি বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। কোচবিহারে এক আত্মীয়র বাড়িতে গিয়েছিলেন। যদিও সেখানে থাকতে পারেননি। কোনও পথ না পেয়ে এদিন সন্তানকে কোলে নিয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেন। একথা শোনার পর কোচবিহার সদর মহিলা থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় সেই মহিলা এবং তাঁর সন্তানকে। সেখানে লিখিত অভিযোগ জমা হয়নি। মহিলার বাবাকে ডেকে তাঁর হাতে বধূ এবং ছোট্ট শিশুটিকে তুলে দেওয়া হয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.