নন্দন দত্ত, বীরভূম: দূরত্ব মাত্র কয়েক কিলোমিটারের। কিন্তু, সেটুকু পথ যেন কিছুতেই পেরোতে পারছিলেন না বাবা। অবশেষে আদালতের হস্তক্ষেপে মিলল ছাড়পত্র। ৬ বছর পর একমাত্র ছেলের সঙ্গে দেখা হবে বাবার।
[সম্পত্তির লোভে মাকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা ৬ ছেলের, পালিয়ে বাঁচলেন বৃদ্ধা]
কিন্তু, কেন এমনটা হল? বছর আটেক আগে সিউড়ির তাপস দাসের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল কড়িধ্যা গ্রামের সবিতার। বিয়ের পর বছর ঘুরতে না ঘুরতেই পুত্রসন্তান হয় ওই দম্পতির। কিন্তু, পারিবারিক অশান্তির কারণে ছেলেকে নিয়ে তাপসের কাছে ফিরে আসেননি সবিতা। হাসপাতাল থেকে সোজা বাপের বাড়ি চলে যান। এখন সেখানেই থাকে মা ও ছেলে। সিউড়ি আদালতে তাপস ও সবিতার বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চলছে। আদালতে নির্দেশে স্ত্রী ও ছেলের ভরণপোষণের টাকাও দিতে হচ্ছে তাপসবাবুকে। কিন্তু, এখনও একমাত্র ছেলের মুখই দেখেননি তিনি। পরিবারের লোকেদের অভিযোগ, ছে্লের সঙ্গে দেখা করতে শ্বশুরবাড়িতে গিয়েছিলেন তাপসবাবু। কিন্তু, দরজা পর্যন্ত খোলেননি স্ত্রীর বাড়ির লোকেরা। এমনকী, জন্মদিন ও পুজোয় ছেলের জন্য পাঠানো উপহারও ফেরত পাঠানো হয়েছে।
[আত্মঘাতী সিভিক ভলানটিয়ার, মৃত্যু নিয়েও ঝগড়া শাশুড়ি-বউমার]
মঙ্গলবার নিজের ছেলের সঙ্গে সাক্ষাতের অনুমতি চেয়ে ও তার পড়াশোনার অধিকার রক্ষার জন্য সিউড়ি আদালতে আবেদন করে তাপস দাস। সেই আবেদন মঞ্জুর করেছেন জেলা জজ ও দায়রা বিচারক পার্থসারথি সেন। তাঁর নির্দেশ, প্রতি বুধবার বিকাল পাঁচটা থেকে সাতটা পর্যন্ত আদালত নিযুক্ত বিশেষ অফিসারের বাড়িতে ছেলের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন তাপসবাবু। তাঁর ছেলেকে সিউড়ি শহরের একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে ভরতি করার নির্দেশ দিয়েছে সিউড়ি আদালত। স্কুলের ভরতি বিষয়টিও দেখভাল করবেন আদালত নিযুক্ত বিশেষ অফিসারই।
[প্রেমিকা মামাতো বোনকে বাগে রাখতে নকল গার্ড সেজে ধৃত যুবক]
প্রসঙ্গত, সিউড়ি শহরেই থাকেন তাপস দাস। আর তাঁর স্ত্রী সরিতাদেবীর বাপের বাড়ি সিউড়ি থানারই কড়িধ্যা গ্রামে। ২ বাড়ির মধ্যে দুরত্ব মাত্র ৬ কিমি।সামান্য দূরত্বও যেন অনতিক্রম্য ছিল। এতদিনে তা ঘুচল।
[উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভূতের ‘বাসা’, আতঙ্কের ছবি ভাইরাল]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.