ছবি: প্রতীকী
স্টাফ রিপোর্টার: পয়লা পৌষ৷ না বিশেষ কোনও দিন নয়৷ কিন্তু ঋতুকাল অনুযায়ী শীতের সময়৷ কিন্তু প্রকৃতির খামখেয়ালিপনায় এখন পৌষের প্রথম তাপমাত্রা পারদ চড়ল স্বাভাবিকের থেকে দু’ডিগ্রি উপরে৷ আবহাওয়া দফতরের বিজ্ঞানীরা বলছেন আপাতত এমনই থাকবে আবহাওয়া৷ তেমন কোনও বড় পরিবর্তন না হলে জাঁকিয়ে শীতের আশা এখনই তেমন নেই৷ আর এই নতুন করে তাপমাত্রা বাড়ার পিছনে উত্তুরে হাওয়ার গতি না থাকা বড় কারণ৷ যার জেরেই মাত্র ২৪ ঘণ্টা আগে শীতলতম দিনের তকমা পেয়েও তা ধরে রাখতে পারেনি শীত৷ এই পরিস্থিতি অন্তত আগামী তিনদিন থাকবে বলে মনে করছে আবহাওয়া বিশারদরা৷
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে এদিন শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫.৬ ডিগ্রি৷ যা স্বাভাবিকের তুলনায় দু’ডিগ্রি বেশি৷ শুক্রবারের তুলনায় আবার যা এক লাফে বেড়েছে ২.৯ ডিগ্রি৷ যা এই সময় বেশকিছুটা বেশি বলেই৷ আবহাওয়াবিদদের দাবি বেলা বাড়ার সঙ্গে এই তাপমাত্রা আরও কিছুটা বেড়েছে৷ যার জেরে গায়ে শীত পোশাক রাখা মুশকিল হয়েছে শহরবাসীর৷ যদিও এই পূর্বভাস আগেই দিয়েছিল আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়, তাপমাত্রা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে৷ সেই মতো শুক্রবার গভীর রাত থেকেই চড়তে থাকে পারদ৷ তবে আবহাওয়বিদরা মনে করেছিলেন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ১৪ ডিগ্রির আশেপাশে৷ কিন্তু তা যে এক ধাক্কায় এতটা বেড়ে যাবে বুঝে ওঠা যায়নি৷ আজ রবিবার থেকে আগামী সপ্তাহভর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ১৫-১৬ ডিগ্রির আশেপাশে৷ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ২৬-২৭ ডিগ্রির মধ্যে৷ তবে এই পূর্বাভাসের সঙ্গে প্রকৃতি অনুভূতির পার্থক্য হতে পারে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা৷ একই সঙ্গে ভোরের দিকে রাজ্যের আকাশে কুশায়ার দেখা মিলতে পারে৷ তবে তা দক্ষিণবঙ্গের তুলনায় উত্তরে বেশি বলে মনে করছেন আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা৷ যার জেরেও কিছুটা বাড়তে পারে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা৷ তবে হঠাত্ কেন এই পরিবর্তন৷ আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, বাংলাদেশ ও আসামের আকাশে আবহাওয়ার কিছু পরিবর্তন লক্ষ্য করা গিয়েছে৷ প্রাথমিক অনুমান তাঁর জেরেই উত্তরে হাওয়া কিছুটা দিক পরিবর্তন করেছে৷
তবে কবে আবার শীতের আমেজ উপভোগ করতে পারবে বাঙালি? আবহাওয়া দফতরের পর্যবেক্ষণ জাঁকিয়ে শীত দূরের কথা৷ শীতের ভাল আমেজ ফের পেতে পেতে ২৩ ডিসেম্বর হয়ে যাবে৷ এখন থেকেই অবশ্য শহরবাসীর মনে সন্দেহ তৈরি হতে শুরু করেছে৷ কারণ গতবছর ২৫ ডিসেম্বর ছিল উষ্ণতম ক্রিসমাস৷ এবারও কি তাহলে তাই হবে? আবহাওয়াবিদরা আশার বানী শোনাচ্ছেন জাঁকিয়ে ঠান্ডা না পেলেও শহরবাসী ঠান্ডার আমেজেই এবার উৎসব পালন করতে পারবে৷ যদি না কোনও ঘূর্ণাবর্ত নতুন করে বাধার সৃষ্টি করে৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.