সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মারণ করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার টিকা। অথচ সেই হাতিয়ারের জোগানেই টান পড়ার অভিযোগ উঠছে। আর এর জন্য কেন্দ্রকে কাঠগড়ায় তুলছে রাজ্য।এমন পরিস্থিতিতে রাজ্যগুলিকে টিকার আমদানির জন্য গ্লোবাল টেন্ডার ডাকার অনুমতি দিয়েছে কেন্দ্র। যাতে সরাসরি টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থার থেকে করোনা ভ্যাকসিন কিনতে পারে রাজ্য। এর পরই টিকার ঘাটতি মেটাতে গ্লোবাল টেন্ডার (Global Tender) ডাকার ভাবনাচিন্তা করছে রাজ্য প্রশাসন। যদিও কেন্দ্রের সেই অনুমতিতেও গ্যাঁড়াকল করা রয়েছে।
করোনা (Corona Virus) ঠেকাতে একটাই দাওয়াই- টিকাকরণ। বলছেন বিশেষজ্ঞরা। অথচ সেই টিকাকরণের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারছে না রাজ্য। যা নিয়ে বাড়ছে চিন্তা। আর এই লক্ষ্যমাত্রা থেকে দূরে থাকার পিছনে একটাই কারণ দেখছে প্রশাসন- কেন্দ্রের টিকা নীতি। সেই জট কাটাতে নতুন পথ দেখিয়েছে কেন্দ্রই। রাজ্যগুলিতে গ্লোবাল টেন্ডার ডাকার অনুমতি দিয়েছে তারা। কী এই গ্লোবাল টেন্ডার?
গোটা বিশ্বের টিকা উৎপাদনকারী সংস্থার কাছে রাজ্য জানতে চাইবে, তারা রাজ্যকে কত টিকা দিতে পারবে। সেই তথ্য জেনে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলির থেকে সরাসরি প্রতিষেধক কিনে নেওয়ার কথা ভাবছে সরকার। এক-দু’দিনের মধ্যেই এই টেন্ডার ডাকা হবে বলে রাজ্য প্রশাসনিক সূত্রে খবর। স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে খবর, বাংলার মোট ৭ কোটি ১৭ লক্ষের মতো মানুষকে টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত ভ্যাকসিন পেয়েছেন মোটে ১ কোটি ২৪ লক্ষ মানুষ। ৫০ শতাংশের বেশি মানুষকে এখনও টিকা দেওয়া সম্ভব হয়নি। তাই দ্রুত লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে গ্লোবাল টেন্ডারের পথে হাঁটতে চাইছে রাজ্য।
কিন্তু গ্লোবাল টেন্ডার ডেকেও কি টিকার ঘাটতি মেটাতে পারবে বাংলা? উঠছে প্রশ্ন। কারণ কেন্দ্রের নয়া নীতি। মোদি সরকার রাজ্যগুলিকে গ্লোবাল টেন্ডার ডাকার অনুমতি দিলেও একটি শর্ত চাপিয়ে রেখেছে। যেথানে বলা হয়েছে, বাইরের যে কোনও সংস্থাকে ভ্যাকসিন তৈরির বরাত দিতে পারবে না রাজ্যগুলি। কারণ ড্রাগ কন্ট্রোলারের অনুমতি ছাড়া বাইরে থেকে কেউই দেশে ভ্যাকসিন পাঠাতে পারবে না। কেবলমাত্র যে সংস্থাগুলির তৈরি ভ্যাকসিন দেশে আনার অনুমোদন ড্রাগ কন্ট্রোলার দিয়েছে কেবল সেই সংস্থাগুলিই ভারতে ভ্যাকসিন তৈরি করে পাঠাতে পারবে।ফলে টিকার ঘাটতি মেটাতে যে কোনও সংস্থার কাছ থেকে টিকা কিনতে পারবে না রাজ্য। ফলে গ্লোবাল টেন্ডার ডাকলেও রাজ্যের টিকার ঘাটতি কতটা মিটবে, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.