সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এত লম্বা সময় ধরে নির্বাচন হওয়ায় সরকারি কাজ ব্যাহত হচ্ছে৷ ১২ মাসের কাজ ৩ মাসের মধ্যে কীভাবে শেষ হবে? রবিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনায় লাগাতার চারটি সভা থেকে এই প্রশ্ন তুললেন মুখ্যমন্ত্রী৷ এত গরমে সাত দফায় ভোটগ্রহণ পর্ব চলছে, তা নিয়ে আগে বেশ কয়েকবার ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এদিন বারুইপুরের সভায় আরও সামনে আনলেন সমস্যাগুলো৷ জানালেন, গরমে এত সভা করতে করতে তাঁর ডিহাইড্রেশন হয়ে গিয়েছে৷ তারপরই সরব হলেন এই অভিযোগে, ভোটের জন্য সবমিলিয়ে প্রায় মাস তিনেক সময় কেটে যাচ্ছে৷ নির্বাচনী বিধি লাগু থাকায় সরকারি কাজকর্ম করা যাচ্ছে না৷
রবিবার রাজ্যে ষষ্ঠ দফা ভোটের দিনও মুখ্যমন্ত্রী দক্ষিণ ২৪ পরগনার ঝটিকা সফরে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ৪টি জনসভা করেছেন৷ ক্যানিংয়ে জয়নগরের তৃণমূল প্রার্থী প্রতিমা মণ্ডলের সমর্থনে ভোটপ্রচার করতে গিয়ে তিনি ধর্ম নিয়ে বিজেপির অভিযোগের জবাব দেন৷ কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে তিনি বলেন, ‘প্রমাণ করুক এখানে আমি পুজো করতে দিই না৷ যদি প্রমাণ করতে পারে, তাহলে আমি একশোবার কান ধরে ওঠবোস করব৷ আর যদি প্রমাণ করতে না পারে, তাহলে উনি কান ধরে ওঠবোস করবেন৷ ডিরেক্ট চ্যালেঞ্জ রইল৷’ রাজ্যে বিয়াল্লিশে ৪২টি আসন দখল করে দেশে থেকে রাজনৈতিকভাবে নরেন্দ্র মোদিকে বিদায় দিতে হবে বলে তিনি ভোটারদের কাছে তৃণমূলকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান৷ তৃণমূল বিয়াল্লিশটি আসন পেলে দিল্লিতে সরকার গঠনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে৷ অগ্রাধিকার থাকবে বাংলার৷
বারুইপুরের সভা থেকে ঘাটালে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিচালনার ঘটনা নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বাহিনী বিজেপির হয়ে ভোট করাচ্ছে অভিযোগ তুলে হুঁশিয়ারির সুরে বলেন, ‘কেন্দ্রীয় বাহিনীর কাজ, ভোট শান্তিপূর্ণ হচ্ছে কি না তা দেখা৷ অশান্তি থামাতে গুলিচালনা বা লাঠিচার্জ করা নয়৷ এফআইআর করারও ক্ষমতা নেই৷ মনে রাখবেন, রাজ্য পুলিশের অনুমতি ছাড়া এধরনের কোনও অ্যাকশন নেওয়া যায় না৷’ বিভিন্ন স্থানের নামবদল নিয়ে বিজেপিকে তোপ দেগে এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ইতিহাস, ভূগোল তো পালটে দিচ্ছে৷ এলাহাবাদের নাম, মোগলসরাইয়ের নাম পালটে দিয়েছে৷ যাঁরা অধ্যাপক, শিক্ষক, তাঁরা আরও ভাল জানবেন কীভাবে সব বদলে দেওয়া হচ্ছে৷’
এতদিন ধরে সিপিএম-বিজেপির আঁতাত নিয়ে প্রতিটি সভায় সরব হলেও, রবিবার যাদবপুরের তৃণমূলের তারকা প্রার্থী মিমির সমর্থনে সভা করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সব সিপিএম খারাপ নয়৷ বুদ্ধদেববাবুকে দেখতে গিয়ে আমি কথা বলে বুঝেছিলাম, ওনারা যতই ভুল করুন, উনি বিজেপি বিরোধী স্ট্যান্ড নিয়েছেন৷ জ্যোতিবাবু থাকলেও হয়তো তাই-ই বলতেন৷ সিপিএমের সবাই বিজেপির সঙ্গে চলে যায়নি৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.