বাবুল হক, মালদহ: প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদ নিয়ে যখন রাজ্যের কংগ্রেস শিবিরে নানান রকম জল্পনা চলছে, ঠিক তখনই অধীররঞ্জন চৌধুরির পক্ষে সওয়াল করলেন মালদহের বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা আবু হাসেম খান চৌধুরি (ডালু)।
প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ ডালুবাবু বুধবার এই বিষয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে কার্যত অধীরের সমর্থনে বলেন, “জোর করে তো কাউকে রিজাইন করানো যায় না। অধীরই থাকুক।” ইতিমধ্যে প্রদেশের সভাপতি পদের জন্য ডালুর ছেলে তথা মালদহ দক্ষিণ কেন্দ্র থেকে সদ্য নির্বাচিত সাংসদ ইশা খান চৌধুরির নাম নিয়েও জল্পনা চলছে। তা অবশ্য নস্যাৎ করে দিয়েছেন ডালু। তাঁর বক্তব্য, তাঁর ছেলে ইশা খান সদ্য সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন। ইশা এখনও অপরিণত। রাজ্য সভাপতি হওয়ার যোগ্যতা তাঁর নেই। এই পদে থাকলে অনেক কাজ করতে হয়। যেটা ইশা পারবেন না। আগে পরিণত হোক, তার পর। ইশাকে নিয়ে এমনই মন্তব্য করেছেন বাবা আবু হাসেম খান চৌধুরি।
প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি কে হবেন, তা নিয়ে যখন বিতর্ক তুঙ্গে। ঠিক তখনই বিস্ফোরক মন্তব্য প্রাক্তন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা আবু হাসেমের। তিনি পাশে দাঁড়িয়েছেন অধীর চৌধুরির। তাঁর কথায়, “অধীর যখন আছেন তখন তাঁকে রাখলেই হয়। জোর করে কাউকে রিজাইন করানো যায় না।”
প্রসঙ্গত, সোমবার কংগ্রেস সদর দপ্তরে রাজ্যের সংগঠনের পরিস্থিতি নিয়ে প্রদেশ নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন সংগঠনের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কে সি বেণুগোপাল। ছিলেন বাংলার পর্যবেক্ষক গুলাম আহমেদ মীর। আলোচনা শুরুর আগেই হঠাৎ করে মীর অধীরকে লোকসভার প্রাক্তন দলনেতা এবং প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি হিসাবে উল্লেখ করেন। যারপরই হতাশা প্রকাশ করলেন বহরমপুরের প্রাক্তন সাংসদ। মনে করা হচ্ছে, অধীরকে সরিয়ে প্রদেশ সভাপতির পদে বসবেন নতুন কেউ। নাম ভাসছে ইশা খানেরও। এমন পরিস্থিতিতে তাঁর বাবা তথা বর্ষীয়ান সাংসদ ডালুবাবুর ‘অপরিণত’ মন্তব্যে বিতর্ক বেড়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.