Advertisement
Advertisement
চিন্তন শিবির

টার্গেট ২০০ আসন, একুশের লক্ষ্যে চিন্তন বৈঠকে রণনীতি তৈরি বঙ্গ বিজেপির

বৈঠক চলাকালীনই হোটেলের বাইরে সংঘর্ষে জড়াল বিজেপির দুই গোষ্ঠী।

'Will get atleast 200 seats 2021 election', says Dilip Ghosh after Chintan Shibir
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:August 11, 2019 3:25 pm
  • Updated:August 11, 2019 5:28 pm  

রাহুল চক্রবর্তী, দুর্গাপুর: মিশন বাংলা, টার্গেট ২০০৷ একুশের বিধানসভা ভোটে কমপক্ষে ২০০টি আসন পাচ্ছে বিজেপি৷ দুর্গাপুরে ২ দিনের চিন্তন শিবির শেষে এই লক্ষ্যমাত্রার কথাই জানালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ৷ ঠিক হয়েছে, তিনিই এবার থেকে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলবেন৷ তাছাড়া আর কেউ আলাদা করে নিজেদের মতামত দেবেন না৷

[আরও পড়ুন: অশান্তির জেরে গৃহবধূকে পুড়িয়ে খুনের অভিযোগ, গ্রেপ্তার শাশুড়ি-দেওর]

লোকসভা ভোটে এরাজ্যে বিজেপির ভাল ফলাফলের পর থেকে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের মূল ফোকাসে এই বাংলা৷ ২ থেকে ১৮ জন সাংসদ পাওয়ার পর একুশে বাংলা দখলের জন্য একেবারে ঝাঁপিয়ে পড়তে চাইছে বিজেপি৷ তার রূপরেখা ঠিক করতেই দুর্গাপুরে ২ দিনের চিন্তন শিবির বসেছে৷ রয়েছেন দলের শীর্ষ কেন্দ্রীয় নেতা অরবিন্দ মেনন, কৈলাস বিজয়বর্গীয়, শিবপ্রকাশ-সহ রাজ্য নেতৃত্বের অনেকেই৷ আলোচনার মূল বিষয় এখানে মূলত দুটি৷ সাংসদ সংখ্যা ২ থেকে ১৮-এ উঠে যাওয়ার মতো উন্নতির গ্রাফ বজায় রাখা৷ সেইসঙ্গে ২০২১-এ তৃণমূল সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে বাংলা দখল করা৷ প্রতিটি বিধানসভা আসন ধরে ধরে দুদিনের বৈঠকে আলোচনা হয়৷ কোথায় সংগঠন কেমন, রাজ্য নেতাদের কাছ থেকে তার বিস্তারিত খোঁজখবর নেন শীর্ষ নেতারা৷ শনিবার রত দশটা পর্যন্ত বৈঠকের পর ফের রবিবার সকাল ১০টা থেকে বৈঠক শুরু হয়৷ সেখানে স্ট্র্যাটেজি ঠিক হয়৷

Advertisement

বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক থেকে একুশের লড়াইয়ের রূপরেখা ঠিক করেছে বিজেপি৷ প্রথমত, কাটমানি ইস্যু৷ এই বিষয়টি নিয়ে এইমুহূর্তে শাসকদলের নেতারা যেভাবে কোণঠাসা হয়ে রয়েছেন, তাকে হাতিয়ার করেই এগোতে চায় রাজ্য বিজেপি৷ রাজ্যস্তরে কাটমানি বিরোধিতায় আন্দোলন আরও বেশি করে ছড়িয়ে দেওয়া তাঁদের লক্ষ্য৷ দ্বিতীয়ত, ৩৭০ ধারা বিলোপের প্রতিবাদে তৃণমূল যেভাবে সরব হয়েছে, তার পালটা হিসেবে রাজ্যবাসীকে এই ধারা বিলোপের গুরুত্ব বোঝাতে কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে দলের তরফে৷বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে সদস্য সংগ্রহ অভিযানে৷ ২০ আগস্ট পর্যন্ত এই অভিযান চলবে, যাতে ১ কোটি সদস্য সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে৷ যা এ মাসের ৪ তারিখ পর্যন্ত ছিল ৫২ লক্ষ৷

এছাড়া তৃণমূলের নির্বাচনী স্ট্র্যাটেজিস্ট প্রশান্ত কিশোরকে আলাদাভাবে কোনও গুরুত্ব দিতে রাজি নন বিজেপি শীর্ষ নেতারা৷ দিলীপ ঘোষের কথায়, ‘প্রশান্ত কিশোরকে দেখে মানুষ তৃণমূলকে ভোট দেবে, এমনটা ভাবার কারণ নেই৷’ এভাবেই কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বেঁধে দেওয়া ফর্মুলা মেনে তৃণমূল বিরোধী সুর চড়াবে রাজ্য বিজেপি৷ এদিন বিকেলে দুর্গাপুরের গান্ধী মোড়ে বিজেপির একটি জনসভা থেকেই তার সূচনা হয়ে যাবে৷

চিন্তন শিবিরে আলোচনা হয় গোর্খাল্যান্ড নিয়েও৷ শনিবারই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লিখে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে গোর্খাল্যান্ডকে স্বীকৃতি দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু সিং বিস্ত৷ এই বৈঠকে তিনি হাজির থাকায় এ প্রসঙ্গে আলোচনা হয়েছে৷ রাজু সিং বিস্ত প্রশ্ন তোলেন, যে জিটিএ অর্থাৎ গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন তৈরি করে দিয়েছেন স্বয়ং, তার মধ্যেই তো ‘গোর্খাল্যান্ড’ কথাটি রয়েছে৷ তাহলে পৃথক গোর্খাল্যান্ড আন্দোলনে আপত্তি কেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের?

[আরও পড়ুন: মন মজেছে ময়ূরে, কালনার শিল্পীদের তৈরি বিশেষ রাখি পাড়ি দিল গুজরাটে]

 

dgp-bjp

এদিকে, একুশে বাংলা দখলের লক্ষ্য নিয়ে দু’দিনের চিন্তন শিবিরের মাঝেই প্রকাশ্যে এল বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব৷ দুর্গাপুরের যে হোটেলে চিন্তন শিবিরের বৈঠক চলছে, রবিবার সকাল সকাল তার বাইরেই সংঘর্ষে জড়াল দুই গোষ্ঠী৷ আসানসোল-দুর্গাপুরে বিজেপি জেলা সভাপতি লক্ষ্মণ ঘড়ুইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি তৃণমূল ঘনিষ্ঠ এবং নতুন সদস্যদের বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন৷ পুরনোদের কোনও সম্মান নেই৷ এই অভিযোগে সরব বিজেপির একদল কর্মী, সমর্থক হোটেলের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন৷ এর পালটায় লক্ষণ ঘড়ুইয়ের অনুগামীরাও চড়াও হন তাঁদের উপর৷ দু’পক্ষের মধ্যে বচসা, সংঘর্ষ হয়৷ গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সামলে কীভাবে একুশে বাংলা দখল করবে বিজেপি, সেই প্রশ্নও তুলছেন অনেকে৷ এনিয়ে দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, এসব বরদাস্ত হবে না৷ দলের মধ্যে থাকতে হলে দলীয় শৃঙ্খলা মেনেই থাকতে হবে৷

দেখুন ভিডিও:

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement