Advertisement
Advertisement

Breaking News

তৃণমূল কাউন্সিলর

নিজের এলাকায় ঢুকতেই ভোটারদের দেওয়া শর্ত মানতে হচ্ছে তৃণমূল কাউন্সিলরকে!

জনরোষের ভয়ে ভোটের দিন থেকে এলাকাছাড়া ওই তৃণমূল কাউন্সিলর।

Will allow your entry on our terms, voters tell TMC councilor
Published by: Tanumoy Ghosal
  • Posted:May 17, 2019 2:13 pm
  • Updated:May 17, 2019 2:13 pm  

সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: শুধুমাত্র কাউন্সিলর শশাঙ্কশেখর মন্ডল ও তাঁর মা-কে এলাকায় ঢুকতে দিতে রাজি স্থানীয় বাসিন্দারা। দুর্গাপুর নগর নিগমের ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের দুই দাদা ও তাঁদের পরিবারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ এখনও কমেনি। তাই তাঁদের এলাকায় ঢুকতে দিতে রাজি নন বাসিন্দারা। আবার স্থানীয় বাসিন্দাদের এই ‘শর্তে’ রাজি নন খোদ কাউন্সিলর। তিনি গোটা পরিবারকে নিয়ে গ্রামে ঢুকতে চান। দলের কাছে সেই ‘অনুকূল’ পরিবেশ তৈরি করে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন শশাঙ্কবাবু।

[আরও পড়ুন: বারুইপুরে পুলিশের নাকা চেকিং, প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা-সহ গ্রেপ্তার পাঁচ বিজেপি নেতা]

দুর্গাপুর পুরনিগমের ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর শশাঙ্কশেখর মণ্ডল। ২৯ এপ্রিল ভোট দিল বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রে। সেদিন দুর্গাপুরের শহরের ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের আশিসনগরে সিপিএমের এক পোলিং এজেন্টকে মারধর ও বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনার উত্তেজনা ছড়ায়। জনরোষের শিকার হন স্থানীয় কাউন্সিলর শশাঙ্কশেখর মণ্ডল ও তাঁর পরিবারের লোকেরা। কাউন্সিলরের বাড়ি ও তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টি অফিসে ভাঙচুর চালান স্থানীয় বাসিন্দারা। ভোটের দিন থেকে আতঙ্কে এলাকাছাড়া তৃণমূল কাউন্সিলর ও তাঁর পরিবারের লোকেরা। বহু চেষ্টা করেও দলের কাউন্সিলর শশাঙ্কশেখর মণ্ডলকে এলাকায় ফেরাতে পারেনি স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। দুর্গাপুরের আশিসনগরের বাসিন্দা স্বপন মোদক বলেন, ‘কাউন্সিলর এবং তাঁর দাদা গ্রামবাসীদের উপর যে অত্যাচার করেছে, তা বলার মতন নয়। আর তাই আমরা পুলিশ-প্রশাসনের অনুরোধে কাউন্সিলর ও তাঁর বৃদ্ধা মাকে গ্রামে ঢোকার অনুমতি দিয়েছি। কিন্তু কাউন্সিলরের দাদাদের ঢুকতে দেওয়া হবে না।”

Advertisement

এদিকে আবার দুর্গাপুরের কাঁকসার মলানদিঘিতে জনরোষের মুখে পড়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত প্রধান পীষূষ মুখোপাধ্যায়। দিন কয়েক আগে এলাকায় রীতিমতো তাণ্ডব চালান শাসকদলের এক পঞ্চায়েত সদস্য। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, অভিযুক্ত পঞ্চায়েত সদস্যের প্রধান মদতদাতা খোদ পঞ্চায়েতের প্রধানই। জনরোষের ভয়ে পঞ্চায়েত প্রধান ও পঞ্চায়েত সদস্য দু’জনেই এলাকা ছেড়েছেন। বিড়ম্বনায় পড়েছে এ রাজ্যের শাসকদল। তৃণমূল কংগ্রেসের পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতি ভি শিবদাসনের অবশ্য দাবি, ‘বিজেপি ও সিপিএমের উসকানির ফলেই এলাকায় এলাকায় উত্তেজনা বাড়ছে। সন্ত্রাসের পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাইছে এই দুই দল। ভোটের ফলাফলের পরই মানুষের রায় দেখে তারাই এলাকা ছাড়বে। আমরা পুলিশকে দলের নেতাদের ঘরে ফিরিয়ে আনার দাবি করেছি।’ এদিকে বহুবার চেষ্টা করেও পঞ্চায়েত প্রধানের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।

[আরও পড়ুন: প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থ, একাধিক সমস্যায় বন্ধ দুর্গাপুরের জলের এটিএম]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement