সুনীপা চক্রবর্তী, ঝাড়গ্রাম: জঙ্গলে ঢুকে পড়েছে দলমার ১০০টি হাতি৷ গত কয়েক সপ্তাহে হাতির তাণ্ডবে তছনছ হয়ে গিয়েছে চাষের জমি৷ বনদপ্তরের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের লালগড়ের বাসিন্দারা৷ শুরু হয়ে গিয়েছে আন্দোলনের তোড়জোড়৷ দিন কয়েক আগে হাতি তাড়ানোর দাবিতে লালগড়ে পথ অবরোধও করেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা৷
[জঙ্গল থেকে দল বেঁধে গ্রামে ঢুকছে দলমার হাতি, আতঙ্কে স্থানীয়রা]
দশ-পনেরো ব্যবধানে ঝাড়খণ্ডের দিক থেকে কংসাবতী নদী পেরিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুরের জঙ্গলে ঢুকছে হাতির দল৷ কয়েকটি হাতি আবার পাকাপাকি থেকে যাচ্ছে এ রাজ্যেই৷ গত কয়েক বছরে দলমার হাতির গতিপ্রকৃতি পালটে গিয়েছে৷ অথচ বনদপ্তরের কোনও হুঁশ নেই৷ অন্তত তেমনই দাবি লালগড়ের জঙ্গলে লাগোয়া গ্রামগুলি বাসিন্দাদের৷ গত সপ্তাহ ধরে হাতির উপদ্রবে রীতিমতো বিরক্ত তাঁরা৷ বনদপ্তরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ বাড়ছে৷ গ্রামবাসীরা জানিয়েছে, কাকভোরে দল বেঁধে গ্রামে ঢুকে পড়ছে দাঁতাল হাতির দল৷ হাতির তাণ্ডবে নষ্ট হচ্ছে চাষের জমি, ভাঙছে ঘরবাড়ি৷ পরিস্থিতি এমনই, যে রাত জেগে গ্রাম পাহারা দিতে হচ্ছে তাঁদের৷ তাতে অবশ্য বিশেষ লাভ হচ্ছে না৷ এদিকে বনদপ্তর নিষ্ক্রিয় বলে অভিযোগ৷ গ্রামবাসীদের ক্ষোভ এতটাই বেড়ে গিয়েছে, যে বনদপ্তরের বিরুদ্ধে রীতিমতো আন্দোলনের তোড়জোড় করছেন তাঁরা৷ দিন কয়েক আগে হাতি তাড়ানোর দাবিতে লালগড়ে পথ অবরোধও করা হয়েছিল৷
দলমা থেকে কতগুলি হাতি ঢুকেছে লালগড়ের জঙ্গলে? বনদপ্তরের হিসেব বলছে, লালগড়ের জঙ্গলে আগে থেকে ২০-২২টি হাতি ছিলই৷ গত কয়েক সপ্তাহে দলমা থেকে আরও হাতি চলে এসেছে৷ এখন সংখ্যাটা প্রায় একশো! বনকর্মীদের দাবি, হাতিগুলিকে গভীর জঙ্গলে পাঠানোর চেষ্টা চলছে৷ এদিকে আবার হস্তি বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, গত কয়েক বছরে লালগড় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা বনভূমির পরিমাণ বেড়েছে৷ জঙ্গলে নিরবিচ্ছিন্ন খাবারের জোগানও দলমা থেকে ঘনঘন হাতিদের এ রাজ্যে চলে আসার একটি কারণ৷
[দেশ ফিরে পেয়েছেন, স্বাধীনতা দিবসে উৎসবের মেজাজ ‘ছিটমহলে’ও
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.