ফাইল ছবি।
গোবিন্দ রায়, বসিরহাট: জেলে বসেই নাকি লাগাতার হুমকি দিচ্ছে সন্দেশখালির ‘ত্রাস’ শাহজাহান শেখ। আর সেই ভয়ে ‘ঘরবন্দি’ হয়ে আছেন সরবেড়িয়ার মণ্ডল পরিবার। এনিয়ে থানায় অভিযোগ করেছেন রবীন মণ্ডল। বুধবার সেই অভিযোগ পেয়ে ন্যাজাট থানা তদন্তে নামার পর বৃহস্পতিবারই রবীন মণ্ডলের বিরুদ্ধে পালটা অভিযোগ দায়ের করলেন শাহজাহানের স্ত্রী তসলিমা বিবি। তাঁর অভিযোগ, শাহজাহানের ২৫ লক্ষ টাকা তছরূপের ঘটনায় জড়িত রবীন মণ্ডল। এখন তিনি সুযোগ পেয়ে শাহজাহানের নামে মিথ্যে গল্প সাজাচ্ছেন। অভিযোগ, পালটা অভিযোগে সরগরম সন্দেশখালি।
শাহজাহানপত্নী তসলিমার অভিযোগ, রবীন মণ্ডল ২০১১ সাল থেকে শেখ শাহজাহানের মাছের আড়তে মুহুরির কাজ করতেন। গত সপ্তাহে মাছের আড়তের পক্ষ থেকে তাঁর কাছে ব্যবসার হিসাব চাওয়া হয়। তিনি ঠিকঠাক হিসাব দিতে পারেননি। তসলিমা বিবি অভিযোগ করেন, প্রায় ২৫ লক্ষ টাকার হিসেবে গরমিল করেছেন রবীন মণ্ডল। তাই তাঁকে কাজ থেকে বের করে দেওয়া হয়। এখন তিনি শাহজাহানের নামে মিথ্যে গল্প রটিয়েছেন।
ঘটনার সূত্রপাত মঙ্গলবার রাতের দিকে। সন্দেশখালির পুরাতন সরবেড়িয়া এলাকায় বাড়ি মণ্ডল পরিবারের। সরবেড়িয়ার মোড়ে ‘শেখ শাহজাহান মার্কেট’ নামে যে বড় বাজারটি রয়েছে, সেটা ওই পরিবারের জমির উপর তৈরি বলে দাবি। মণ্ডল পরিবারের অভিযোগ, তাঁদের জায়গা দখল করে ওই বাজার তৈরি করেছিলেন তৎকালীন প্রভাবশালী নেতা। জমি ফেরানোর দাবিতে ইডি এবং সিবিআইয়ের কাছে অভিযোগও করে ওই পরিবার। অভিযোগের ভিত্তিতে ওই বাজারে অভিযানও চালিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এখনও সেই মামলা বিচারাধীন। তার মাঝেই মণ্ডল পরিবার অভিযোগ করেন, শাহজাহান জেলে বসে ফোনে হুমকি দিচ্ছেন ‘‘খুব বাড় বেড়েছিস। তোরা মার্কেট নিয়ে অতি বাড়াবাড়ি করছিস। তোদের বাড়িঘর ভাঙচুর করব। বোমাবাজি করে দেব। বাড়ি থেকে বেরনো বন্ধ করে দেব।”
এহেন গুরুতর অভিযোগ একেবারেই মিথ্যে গল্প বলে পালটা দাবি করলেন শাহজাহানের স্ত্রী তসলিমা। বৃহস্পতিবার তিনি ন্যাজাট থানায় রবীনের বিরুদ্ধে পালটা মামলা করলেন। অভিযোগ, রবীন শাহজাহানের নামে মিথ্যে গল্প রটিয়েছেন। আর তাঁকে উসকানি দিয়েছেন বাসন্তীর বাসিন্দা মইদুল মোল্লা। তাঁর বিরুদ্ধেও তসলিমা অভিযোগ জানিয়েছেন। এই মইদুল মোল্লাও শাহজাহানের আড়তে কাজ করতেন। তাঁকে অবশ্য অনেকদিন আগেই কাজ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ন্যাজাট থানার পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.