অর্ক দে, বর্ধমান: ধর্ষণে অভিযুক্তের স্ত্রীকে সিপিএম প্রার্থী করা হয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Bengal Panchayat Election 2023)। এই ঘটনা জানাজানি হওয়ার পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে। প্রার্থী খুঁজে না পেয়েই সিপিএম শেষমেষ এই কাজ করেছে বলে মনে করছেন অনেকে।
পূর্ব বর্ধমান জেলার খণ্ডঘোষ ব্লকে সগড়াই গ্রাম পঞ্চায়েতের ২১ নম্বর আসনে সিপিএমের প্রার্থী হয়েছেন তুহিনা বেগম। তাঁর স্বামী শেখ মোস্তাফা ধর্ষণের মামলায় অভিযুক্ত। গত ১৬ মে খণ্ডঘোষের শুনিয়া গ্রামে এক মূক ও বধির গৃহবধূকে ধর্ষণ করার অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। সেই মামলা এখন আদালতে বিচারাধীন। গ্রামের এলাকায় এই ধরনের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তির স্ত্রীকে সিপিএম প্রার্থী করার রাজনৈতিক মহলে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে।
প্রার্থী নামের তালিকা ও অভিযোগপত্র সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করা হয়েছে। সিপিএম দলের হয়ে প্রার্থী খুঁজে না পেয়ে ধর্ষণে অভিযুক্ত ব্যক্তির স্ত্রীকে প্রার্থী করেছে বলে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে অনেকে। অনেকে আবার বলেছে, এধরনের প্রার্থী সমাজের মুখ হলে সমাজের অবস্থা শোচনীয় হবে।
যদিও এই বিষয়ে ভিন্ন মত পোষণ করেছেন সিপিএমের কৃষকসভার রাজ্য কমিটির সদস্য বিনোদ ঘোষ। তিনি জানান,”তুহিনা বেগম দীর্ঘদিন ধরে দলের কর্মী। ২০১১ সালের পর থেকে শাসকদলের অত্যাচারের বিরুদ্ধে সিপিএমের পরিচিত মুখ। তাই দল তাকে প্রার্থী নির্বাচন করেছে। এক্ষেত্রে তার স্বামীর মামলা এখনও বিচারাধীন। প্রত্যেকটি মানুষের ব্যক্তি স্বাধীনতা রয়েছে। তাই অন্য কোনও ঘটনার কারণে অপরজনের সমালোচনা করা ঠিক নয়।”
খণ্ডঘোষ ব্লকের তৃণমূলের সভাপতি অপার্থিব ইসলাম জানান,”সিপিএম ৩৪ বছর ধরে যে অত্যাচার করছে তাতে কোনও মানুষ তাঁদের পাশে নেই। এই এলাকায় মানুষের সমর্থন তাঁদের সঙ্গে নেই। কোনও প্রার্থী খুঁজে না পেয়েই ধর্ষণে অভিযুক্ত ব্যক্তির স্ত্রীকে প্রার্থী করেছে তারা। তাঁর স্বামীর কুকীর্তির কথা এলাকায় সকলেরই জানা। এই পরিস্থিতিতে এরকম একজন প্রার্থী কীভাবে মানুষের কাছে গিয়ে ভোট চাইতে পারেন?”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.