ছবি: প্রতীকী
শুভদীপ রায় নন্দী, শিলিগুড়ি: গত ডিসেম্বরে স্ত্রী গত হয়েছেন৷ মন থেকে কোনও ভাবেই স্ত্রীর অকাল মৃত্যু মেনে নিতে পারছিলেন না বৃদ্ধ৷ তাই স্ত্রী’র শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের আগেই আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন৷ রবিবার বিকালে এমনই মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী থাকল শিলিগুড়ির দেশবন্ধু পাড়া এলাকা৷
[ধূপগুড়িতে পালটা মিছিল, গায়িকা সোমলতার কুশপুতুল পোড়াল পড়ুয়ারা ]
মৃত বৃদ্ধের নাম কানু দে, বয়স ৭৬৷ গত ২৬ ডিসেম্বর, শ্বাসকষ্টে মৃত্যু হয় তাঁর স্ত্রী উষা দে’র৷ সোমবার ছিল উষা দেবীর শ্রাদ্ধানুষ্ঠান৷ পরিবারের সূত্রে জানা গিয়েছে, উষা দেবীর মৃত্যু পর থেকেই ভেঙে পড়েছিলেন বৃদ্ধ কানু বাবু৷ সবসময় স্ত্রী’র কথাই ভাবতেন৷ তাঁকে ঘিরে থাকা নানা স্মৃতি আওড়াতেন৷ কিছুই খেতে চাইতেন না৷ খেলেও পরিমাণ ছিল খুবই কম৷ কথা বলতেন না বাড়ির অন্যদের সঙ্গেও। নিজেকে বন্ধ করেছিলেন ঘরে৷ এর প্রভাব পড়েছিল কানু বাবুর শরীরেরও৷ দিন দিন রুগ্ন হয়ে যাচ্ছিলেন তিনি৷
[মেয়েকে স্কুলে পাঠাতে গয়না বেচে বাড়িতে শৌচাগার বানালেন গৃহবধূ]
তাঁর ছেলে জানিয়েছেন, রবিবার বিকালে বাবার (কানু দে) সঙ্গে কথা বলতে ঘরে যান তিনি এবং দেখেন খাটে অস্বাভাবিক অবস্থায় পড়ে রয়েছেন বাবা৷ তাঁর পাশে ছড়িয়ে রয়েছে অনেক ওষুধ৷ যার মধ্যে ঘুমের ওষুধও ছিল৷ সঙ্গে সঙ্গে কানুবাবুকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান পরিবারের লোকরা৷ সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা৷ গোটা ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে শিলিগুড়ির দেশবন্ধুপাড়ার দে’পরিবারে৷ এই ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে পুলিশ৷ তাঁদের অনুমান ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন কানু দে৷ ইতিমধ্যে মৃতদেহটি উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.