Advertisement
Advertisement
স্বামীকে খুন

পূর্ব বর্ধমানে মনুয়াকাণ্ডের ছায়া, প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে স্বামীকে খুনের অভিযোগে ধৃত স্ত্রী

প্রতিবেশীদের চাপের মুখে অপরাধের কথা স্বীকার স্ত্রীর।

Wife accused of murdering husband for having extra marital affair

ছবি: প্রতীকী।

Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:September 8, 2019 9:02 pm
  • Updated:September 9, 2019 2:01 pm  

রিন্টু ব্রহ্ম, কালনা: পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বরে যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্যু ফিরিয়ে আনছে সেই মনুয়াকাণ্ডের স্মৃতি। মৃতের পরিজনদের অভিযোগ, প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করার পর শ্বাসরোধ করে স্বামীকে খুন করেছে স্ত্রী। ঘটনায় শোরগোল মন্তেশ্বর থানা এলাকার ধেনুয়া গ্রামে। মৃতের নাম মানু শেখ। শনিবার রাতে নাগাদ বাড়ি থেকেই তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে
পুলিশ এখনও পর্যন্ত ২ জনকে আটক করেছে বলে খবর।

[আরও পড়ুন: খাদ্যের খোঁজে এবার জাতীয় সড়কে দাঁতাল, গাড়িতে শুঁড় গলিয়ে ছড়াল আতঙ্ক]

পরিবার সূত্রে খবর, মানুর স্ত্রী মমিনা বিবির প্রথমে তাঁদের কাছে দাবি করেছিলেন, অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হয়েছে স্বামীর। পরে আবার বয়ান বদল করে তিনি বলেন, রাতে স্বামীর সঙ্গে তাঁর অশান্তি হয়েছিল। তার জন্য গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন মানু শেখ। তবে তাঁর পরিবারের লোকজন এই অভিযোগে সরব যে গ্রামের যুবক আতর আলি শেখের সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জেরেই মানুকে খুন হতে
হয়েছে। এবং অভিযোগের তির আতর আলি ও মমিনা – দুজনের দিকেই। এই অভিযোগে পরিবারের সদস্যরা রবিবার পুলিশের দ্বারস্থ হন।
গ্রামবাসীরা মমিনাকে ঘরে আটকে রেখে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানার চেষ্টা করতে থাকেন। সত্যি কথা বলার জন্য তাকে চাপ দেওয়া হয়। প্রতিবেশীরা জানিয়েছে, তাতেই সে খুনের কথা স্বীকার করেছে। একই কথা জানিয়েছেন মৃতের দুই দাদা মহম্মদ আলি শেখ ও নুরুল ইসলাম শেখ। এনিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) ধ্রুব দাস বলেন, “অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। দুজনকে আটক করা হয়েছে।”

Advertisement

বছর আটেক আগে ধেনুয়া গ্রামের মসজিদপাড়ার মানু শেখের সঙ্গে নাদনঘাট থানার কুন্দপাড়ার মমিনা বিবির বিয়ে হয়। মানু বেঙ্গালুরুতে কাজ করেন। গত শুক্রবার তিনি বাড়ি ফেরেন। আর শনিবার রাতে তাঁর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। মৃতের দাদা মহম্মদ আলি শেখ বলেন, “ভাই যেখানে কাজ করত, সেখানে কোনও গোলমাল হয়নি। গ্রামেও কোনও অশান্তি নেই। শনিবার রাতে আচমকা ভাইয়ের মৃত্যু কীভাবে হল, তা নিয়ে সন্দেহ জাগে। পরে জানতে পারি, ভাই না থাকার সুযোগে আতর আলির সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে মমিনার। ভাইয়ের মৃত্যুর পর আমরা চেপে ধরতেই ও স্বীকার করেছে, প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে ও-ই খুন করেছে।”

[আরও পড়ুন: বাসের জানলা থেকে বমি করতে গিয়ে বিপত্তি, দু’ভাগ হয়ে গেল যুবতীর মাথার খুলি]

মানুর আরেক দাদা নুরুল পুলিশকে জানিয়েছেন, ঘটনার পর মমিনা ও আতরকে গ্রামবাসীরা আটকে রেখেছিল। গ্রামবাসীদের কাছে তারা স্বীকার করেছেন, ঘুমের ওষুধ খাইয়ে তারা প্রথমে মানুকে বেহুঁশ করে দেয়। তারপর ওড়নার ফাঁস গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করেছে। পুলিশ অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে। মমিনা ও তার প্রেমিককে আটক করা হয়েছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement