Advertisement
Advertisement

ঠাকুরবাড়িতে রক্তারক্তি, বড়মাকে মারল কে?

প্রাক্তন মন্ত্রী মঞ্জুলের অভিযোগ, সম্পত্তি হাতিয়ে নিতে তাঁর মাকে খুন করতে চেয়েছিলেন মমতাবালা৷

Who has beaten barama?
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:May 24, 2016 11:15 am
  • Updated:May 24, 2016 11:18 am  

নিজস্ব সংবাদদাতা: ঠাকুরনগরের ঠাকুরবাড়ির কোন্দল আবার থানার দরজায়৷ এবার রহস্যজনকভাবে জখম মতুয়া মহাসংঘের ‘বড়মা’ বীণাপাণিদেবী৷ তাঁর মাথায়, হাতে, চোখে চোট লেগেছে৷ সোমবার তিনি ভর্তি হয়েছেন কলকাতার একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে৷ বীণাপাণিদেবীর ছেলে মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুর ঘটনায় তাঁর বউদি, সাংসদ মমতাবালাকে অভিযুক্ত করে গাইঘাটা থানার দ্বারস্থ হয়েছেন৷ ঘটনা ঘিরে সরগরম মতুয়া সমাজ৷ রয়েছে রাজনৈতিক উত্তাপও৷
প্রাক্তন মন্ত্রী মঞ্জুলের অভিযোগ, সম্পত্তি হাতিয়ে নিতে তাঁর মাকে খুন করতে চেয়েছিলেন মমতাবালা৷ তবে দক্ষিণ কলকাতার যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অশীতিপর বীণাপাণিদেবী সেখানে দাঁড়িয়ে তৃণমূলের সাংসদ মমতাবালা বলেন, “আমিই তো ওঁর দেখভাল করি৷ এখানেও করছি৷ চোট লেগেছে পড়ে গিয়ে৷ আমার বিরু‌দ্ধে অভিযোগ পারিবারিক চক্রান্ত৷” তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন প্রাক্তন মন্ত্রী উপেন বিশ্বাস৷ তিনি বলেন, “এখন ভাল আছেন মতুয়ামহাসংঘের প্রধান৷ পড়ে গিয়ে চোট পেয়েছিলেন৷” তবে মঞ্জুলকৃষ্ণের অভিযোগ, “প্রথমে তো স্থানীয় হাসপাতালে মাকে চিকিৎসা করানো হয়৷ সেখানকার রিপোর্ট দেখা হোক৷” সবমিলিয়ে ঘটনা ঘিরে তরজা চরমে৷ চড়ছে রহস্য ও উত্তাপের পারদ৷ পারিবারিক এই কাজিয়া ঘিরে সারা দেশে ছড়িয়ে থাকা অগণিত ভক্তরাও যেন কিছুটা অখুশি৷
উত্তর ২৪ পরগনার ঠাকুরনগরের এই বাড়ি ঘিরেই এখন আবর্তন, আবেগ মতুয়াসমাজের৷ মহাসংঘের সদর দফতরও এখানেই৷ সংঘের প্রধান পি আর ঠাকুরের মৃত্যুর পর দায়িত্বে তাঁর স্ত্রী বীণাপাণিদেবী, যিনি বড়মা নামেই পরিচিত৷ মঞ্জুলের অভিযোগ, “মহাসংঘের ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে ও জমা অর্থ আত্মসাতের জন্য মমতাবালা চাপ দিচ্ছেন মায়ের উপর৷ রবিবার রাতে মাকে মারধর করেন তিনি৷ খুনের চেষ্টা হয়৷ আসলে, শুধু বউদি নন, এই চক্রান্তের শরিক সুকেশ অধিকারী নামে এক ব্যক্তি৷ তিনি ঘটনার রাতে সঙ্গে ছিলেন৷ মারের চোটে মুখে, কপালে রক্ত জমাট বাঁধে৷ গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় প্রথমে ঠাকুরনগর হাসপাতালে পরে কলকাতার নার্সিং হোমে ভর্তি করা হয়৷”
তবে মমতাবালার দাবি, “অযথা পারিবারিক বিষয় প্রকাশ্যে এনে ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থের চেষ্টা চলছে৷ কোনও মারধরের ঘটনা ঘটেনি৷ মা তো পুলিশে অভিযোগ জানাননি৷ তিনি খাট থেকে পড়ে গিয়ে থাকতে পারেন অথবা বয়সের কারণে দেওয়ালে ঘষা লেগে থাকতে পারে শরীরের৷ তার থেকেই চোট লেগেছে৷ আমি নিজে মায়ের দেখভাল করি৷” হাসপাতালে বীণাপাণিদেবীকে দেখতে গিয়ে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী উপেনবাবু জানান, “মারধরের প্রশ্ন নেই৷ আমি মমতাবালাকে চিনি৷ ঠাকুর পরিবারের ঘনিষ্ঠ৷ মমতা এই কাজ করতে পারেন না৷ পড়ে গিয়ে চোট লেগেছে হয়তো৷ এত বড় মিথ্যা অভিযোগের পর মমতাবালা বসে থাকবেন না৷ ব্যবস্থা নেবেন৷” ফোনে বড়মার শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন হাবড়ার বিধায়ক জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক৷
মঞ্জুলকৃষ্ণ যদিও অভিযোগ করেন, বড়মার খাটটি মেঝে থেকে এক ফুট উঁচু৷ ফলে পড়ে গেলেও এভাবে চোট লাগে না৷ বড়মাকে দেখার জন্য ২৪ ঘণ্টা একজন মহিলা থাকেন৷ তাঁর অলক্ষে এই ঘটনা ঘটেনি৷ যদিও সেই মহিলা ‘কিছুই জানি না’ বলে রহস্য বাড়িয়েছেন৷

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement