অর্ণব আইচ, বারাকপুর: অমরাবতীর মাঠ বিক্রি বিতর্কের অভিযোগে খুইয়েছেন চেয়ারম্যানের পদ। বহু টালবাহানার পর ‘মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ’ লেখা পানিহাটি পুরসভার চেয়ারম্যানের ইস্তফাপত্র গৃহীত হয়েছে। সোমবার বোর্ড মিটিংয়ের কাউন্সলরদের সর্বসম্মতিক্রমে পদত্যাগ করেছেন মলয় রায়। নিয়ম মেনে আগামী ২১ মার্চ ফের বোর্ড অফ কাউন্সিলরের বৈঠক ডেকেছেন ভাইস চেয়ারম্যান সুভাষ চক্রবর্তী। সেখানে ঠিক হবে পরবর্তী চেয়ারম্যানের নাম। মলয় রায়ের স্থলাভিষিক্ত হওয়ার দৌড়ে কারা? বেশ কয়েকটি নাম নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে এই মুহূর্তে।
পানিহাটি পুরসভার সম্ভাব্য চেয়ারম্যান হিসেবে বর্তমান চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল (পূর্ত) সোমনাথ দে-র নাম উঠে আসছে। চেয়ারম্যান মলয় রায় ইস্তফা দেওয়ার পরও নির্দেশের পরপরই তাঁর পুলিশি নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। আরেকটি সূত্রে আবার, মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান সুভাষ চক্রবর্তীকে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান করা হবে বলেও দাবি করছে। আবার কারও মতে, তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা লগ্ন অর্থাৎ ১৯৯৮ সাল থেকে টানা জয়ী হওয়া মহিলা কাউন্সিলর টুলুরানি দাসও রয়েছেন চেয়ারম্যান হওয়ার দৌড়ে। তিনজনের মধ্যে কার পাল্লা ভারী? সেসব তুলনায় না গিয়ে পূর্ব পানিহাটি শহর তৃণমূল সভাপতি সম্রাট চক্রবর্তী শুধুমাত্র জানিয়েছেন, “আমাদের দলে কাউন্সিলররা চেয়ারম্যান ঠিক করেন না। দলই চেয়ারম্যান নিযুক্ত করবে।”
প্রসঙ্গত, নাগরিক পরিষেবা নিয়ে একাধিক অভিযোগের পাশাপাশি সোদপুরের ‘ফুসফুস’ অমরাবতী মাঠে আবাসন তৈরির চক্রান্তের অভিযোগ সামনে আসতেই হস্তক্ষেপ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে মলয় রায়কে পদত্যাগ করার কথা জানিয়েছিলেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। সোমবার অমরাবতী মাঠ নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ উড়িয়ে ফের একাংশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে মলয় রায় জানিয়েছেন, “খেলার মাঠ নিয়ে গন্ডগোল। কিন্তু সেখানে খেলা, মেলা, দুটো ক্লাব – সবই তো চলছে। যারা অমরাবতী মাঠ নিয়ে নোংরামি করেছে তাদের কথা টেকেনি, পুরো ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী আমাকে ক্লিনচিট দিয়েছেন। তাহলে তাদের কথা সত্যি হল, নাকি মাঠ বিক্রি হল না সেটা সত্য প্রমাণিত হয়?”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.