চন্দ্রশেখর চট্টোপাধ্যায়, আসানসোল: লকডাউনের সময় এলাকায় সাংসদের দেখা নেই। অথচ ফেসবুক, টুইটারে তাঁর উপস্থিতি জ্বলজ্বল করছে। তাহলে কি ‘সামাজিক দূরত্ব’ তাঁকে নিজের সংসদীয় এলাকার বাসিন্দাদের থেকে দূরে রেখেছে? এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা মজার মিম ছড়িয়ে পড়ল। যার নায়ক – আসানসোলের বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, ১১ কেজির লাড্ডু মানত করে এক ভক্ত বজরংবলির কাছে সাংসদকে হাজির করার প্রার্থনা জানাচ্ছেন। কোথাও দেখা যাচ্ছে সাংসদ মিসিং-এর পোস্টার। তাঁকে লক্ষ্য করে একের পর এক প্রশ্নবাণ সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায় পাতায়।
এক মাস আগে আসানসোলে COVID-19 পরীক্ষাকেন্দ্রের জন্য বাবুল সুপ্রিয় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছিলেন। সেই চিঠি তিনি পোস্টও করেছিলেন নিজের টুইট হ্যান্ডেলে। শনিবার দেখা গেল, মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি তাঁর টুইটারে এ নিয়ে প্রশ্ন উসকে দিয়েছেন নতুন করে। তিনি সাংসদের কাছে দাবি তুলেছেন, পরীক্ষাকেন্দ্রের কাজ কতদূর হয়েছে, তা আসানসোলবাসীকে জানান সাংসদ। মেয়র পারিষদ অভিজিৎ ঘটক ফেসবুক পোস্টে প্রশ্ন তুললেন, দিল্লির প্রতিনিধি দল লকডাউন ভেঙে যদি রাজ্যে আসতে পারেন, তবে আসানসোলে পা রেখে বাবুল সুপ্রিয় কেন এলাকাবাসীর পাশে দাঁড়াচ্ছেন না? বিধায়ক, মেয়র, মন্ত্রীকে যখন এলাকায় ত্রাণ বিলি করতে দেখা যাচ্ছে, তখন সাংসদের দেখা নেই কেন?
মেয়র জিতেন্দ্র তেওয়ারি বলেন, ”রোম যখন পুড়ছিল, সম্রাট নিরো তখন বেহালা বাজাচ্ছিল। সাংসদ তথা মন্ত্রীরও তাই অবস্থা হয়েছে। যখন সাধারণ মানুষের খাবার দরকার,তখন সোশ্যাল মিডিয়ায় সাংসদ গান শোনাচ্ছেন। ভুয়ো পোস্ট করে ক্রমাগত কুৎসা করছেন রাজ্যের বিরুদ্ধে।”
টিম বাবুল বিজেপির টুইট থেকে এর জবাবে পোস্ট করা হয়, বাবুল সুপ্রিয় জনসমক্ষে স্বচ্ছ কাজকর্ম করেন। তৃণমূল নেতাদের মতো মিথ্যাচার করে না। মিথ্যাচারের জন্যই আসানসোলবাসী তৃণমূলকে ২ লক্ষ ভোটে হারিয়েছে। ভাইরাসের পরীক্ষাগার সম্পর্কে বাবুল সুপ্রিয় টুইটে সাফাই দেন, আাসনসোল বা দুর্গাপুরের মধ্যে ল্যাব খোলার জন্য উপযুক্ত জায়গা খোঁজার চেষ্টা চলছে। তবে এই কাজটি সময়সাপেক্ষ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.