অংশুপ্রতিম পাল, খড়গপুর: সরস্বতী পুজোয় ছন্দপতন। স্কুলে প্রসাদ খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ল পনেরোজন পড়ুয়া। পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়ির এই ঘটনায় অবশ্য পরে প্রাথমিক চিকিৎসার পর শিশুদের ছেড়ে দেওয়া হয়। এদিকে উত্তর ২৪ পরগনার হাবরায় অঞ্জলি দিতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ হল একরত্তি কন্যা।
[অনভ্যস্ত কুচি সামলে শুভদৃষ্টির লগন, এই তো বাঙালির সরস্বতী পুজো]
সোমবার সকাল সকাল কেশিয়াড়ির সাঁতরাপুরে ওই নার্সারি স্কুলে চলে গিয়েছিল পড়ুয়ারা। পুজো ঘিরে ব্যাপক উৎসাহ ছিল কচিকাঁচাদের মধ্যে। সকালে পুষ্পাঞ্জলির পর সবাইকে প্রসাদ দেওয়া হয়। এরপরই ঘটে বিপত্তি। কয়েকজন পড়ুয়ার মুখের ভিতরটা লাল হতে থাকে। বেশ কয়েকজন অভিভাবকেরও একই অবস্থা হয়। বিদ্যালয়ের শিক্ষক তাপস মাইতি জানান, কোনওরকম ঝুঁকি না নিয়ে পড়ুয়াদের বেলদা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরিশচন্দ্র বেরা জানান, সব মিলিয়ে ১৩ জন বাচ্চা অসুস্থ হয়। তবে দুজন বাদে সকলকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে অ্যালার্জির কারণে পড়ুয়ারা অসুস্থ হয়ে পড়। ফল খেয়েই যে সমস্যা হয় সে সম্পর্কে নিশ্চিত চিকিৎসকরা। তবে কীভাবে এই ঘটনা ঘটল তা বুঝতে পারছে না স্কুল কর্তৃপক্ষ। এই নিয়ে খোঁজখবর নেওয়া শুরু হয়েছে। সকালে এই ঘটনায় এদিন ওই স্কুলের পুজোর আনন্দ কার্যত মাটি হয়ে যায়।
[কোথায় সরস্বতী? পাক অধীকৃত কাশ্মীরে খণ্ডহর জ্ঞানচর্চার এই পীঠস্থান]
পশ্চিম মেদিনীপুরের মতোই বাণী বন্দনায় বিপত্তি উত্তর ২৪ পরগনার হাবরায়। বড়দের সঙ্গে আনন্দে মাততে তৈরি ছিল ছোট্ট অনিষা চট্টোপাধ্যায়। ৪ বছরের অনিষা পুজোর অঞ্জলি দেওয়ার জন্য সকাল সকাল স্নান সেরে নেয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা আর হয়ে উঠল না। হাবড়ার চোংদা রবীন্দ্রপল্লির এই শিশু পাশের বাড়িতে অঞ্জলি দিতে গিয়েছিল। আচমকা প্রদীপের আগুন লাগে তার শাড়িতে। সেই সময় পাশে থাকা অন্যরা আগুন নেভাতে ঝাঁপিয়ে পড়ে। দ্রুত তাকে হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর অবস্থার অবনতি হলে কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। ছোট্ট অনিষার শরীরের অনেকটা অংশই পুড়ে গিয়েছে।
ছবি: সৈকত পাঁজা
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.