সৈকত মাইতি, তমলুক: পাঁশকুড়ায় দেহাংশ উদ্ধারের ঘটনায় নয়া মোড়। শ্বশুরকে খুনের অভিযোগে ছেলে ও বউমাকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। ধৃতদের ৯ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। পুলিশের দাবি, যৌন লালসা মেটাতে গিয়ে বউমার হাতে খুন হতে হয়েছে শ্বশুরকে।
[টিটাগড়ে শুটআউট, ভাইপোর হাতে খুন প্রাক্তন কাউন্সিলর]
মাসখানেক আগে পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ায় মেদিনীপুর ক্যানেল পাড়ে মিলেছিল দেহাংশ। তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, ওই দেহাংশটি নিখিল মাইতির। পাশের জেলা পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলার রাতরাপুর এলাকার বাসিন্দা তিনি। অগাধ সম্পত্তির মালিক নিখিলবাবু। অভিযোগ, একাধিক মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক থাকার অভিযোগ তুলে ১১ বছর আগে স্ত্রী টিয়াদেবী ওই ব্যক্তিকে ছেড়ে চলে যান। ছেলেকে নিয়ে ডেবরাতে বাপের বাড়িতে থাকতে শুরু করেন নিখিল মাইতির স্ত্রী। বছর ছয়েক আগে একমাত্র ছেলে শুভকে নিজের কাছে নিয়ে আসেন নিখিলবাবু। শুভ কলাইকুণ্ডায় একটি বেসরকারি সংস্থার কর্মী। ছেলের পছন্দ করা পাত্রীর সঙ্গে তাঁর বিয়ে দিয়েছিলেন নিখিল মাইতি। গত ১৫ জানুয়ারি রাতে খুন হন নিখিল।
[মসুলে নিহতদের তালিকায় নদিয়ার খোকন, কান্নার রোল পরিবারে]
কিন্তু, কেন খুন হলেন নিখিল মাইতি? পুলিশের দাবি, জেরায় নিখিল মাইতির ছেলের স্ত্রী বর্ষা জানিয়েছেন, ঘটনার দিন বাড়িতে তিনি একাই ছিলেন। সেই সুযোগে নিজের যৌন লালসা মেটানোর চেষ্টা করেছিলেন নিখিলবাবু। নিজের সম্ভ্রম বাঁচাতে শ্বশুরকে খুন করেছেন বর্ষা। পুলিশের দাবি, খুনের পর প্রমাণ লোপাটের পরিকল্পনা করে শুভ ও বর্ষা। বাবার দেহকে মেশিনের সাহায্যে টুকরো টুকরো করে ফেলে শুভ। বাবার মাথা আর ধড়কে আলাদা করে একটি বস্তায় ভরে ওই রাতেই ভিন রাজ্যগামী একটি লরিতে চাপিয়ে দেয়। আর বাকি অংশ মেদিনীপুর ক্যানেল পাড়ে পুঁতে দেয় । কিন্তু এত বড় কর্মকাণ্ড একা শুভ কী করে করল তা নিয়ে ধন্ধে রয়েছে পুলিশ। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি দুপুরে পাঁশকুড়া থানার অন্তর্গত ঘোষপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের আড়োড় এলাকার মেদিনীপুর ক্যানাল পাড়ে মাটির উপরে থাকা একটি পা ও হাতের কনুই দেখতে পান এক গ্রামবাসী। তারপরই তদন্তে নেমে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য পেল পুলিশ।
[লক্ষাধিক টাকা, দামি মোবাইল পেয়েও ফিরিয়ে দিয়েছেন এই চা বিক্রেতা]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.