ধীমান রায় ও বাবুল হক: করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় মৃত্যুমিছিল। হু হু করে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। বীভৎস দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন বাংলার অন্তত দুই যুবক। পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোট এবং মালদহের মালতীপুরের ধানগাড়া মিলিয়ে মোট তিন যুবকের মৃত্যুতে দিশাহারা পরিবার। গোটা এলাকায় নেমেছে শোকের ছায়া।
পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোট থানার করুই গ্রামের ১০জনের একটি দল চেন্নাইয়ে রাজমিস্ত্রির কাজে যাচ্ছিলেন। শুক্রবার শালিমার থেকে করমণ্ডল এক্সপ্রেসে চড়েন তাঁরা। ওই ট্রেনেই ছিলেন বছর আঠারোর ছোট্টু সর্দার ও তাঁর বাবা শুকলাল। বছর একচল্লিশের সঞ্চিত সর্দার এবং সাদ্দাম শেখ-সহ বেশ কয়েকজন। ছোট্টু ও তাঁর বাবা আলাদা বগিতে ছিলেন। দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ছোট্টু। তবে তাঁর বাবা প্রাণে বেঁচে যান। তবে সঞ্চিত সর্দার এখনও নিখোঁজ। অন্যদিকে, মঙ্গলকোটের কুরুম্বা গ্রামের বাসিন্দা পরিযায়ী শ্রমিক ইয়াদ আলি শেখের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। আবার ওই গ্রামেরই বাসিন্দা আহম্মদ শেখ জখম। তিনি ওড়িশার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ভাতারের বামশোর থেকে ৯ জনের একটি দল ওই ট্রেনে চড়েন। তাঁদের মধ্যে দু-একজন অল্পবিস্তর জখম।
মালদহের এক পরিযায়ী শ্রমিকের প্রাণ কেড়েছে বীভৎস দুর্ঘটনা। মৃত মাশরেকুল আলম, মালদহের মালতীপুরের ধানগাড়ার বাসিন্দা। বছর তেইশের যুবকের বাড়িতে রয়েছেন বাবা, মা, স্ত্রী এবং বছর ছয়েকের ছেলে ও বছরখানেকের কন্যাসন্তান। শুক্রবার রাতে দুর্ঘটনার খবর জানাজানি হতেই পরিবারে নেমেছে শোকের ছায়া। পরিবারের একমাত্র রোজগেরে ছিলেন মাশরেকুল। তাঁর মৃত্যুতে যেন মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছে সকলের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.