সন্দীপ চক্রবর্তী: শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, আগামী মাস থেকে রাজ্যে আরও শিথিল হবে লকডাউন। ধর্মীয় স্থান থেকে কর্মক্ষেত্র – সবই খুলবে। করোনাতঙ্ক কাটিয়ে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক ছন্দে ফেরার চেষ্টা করবে বাংলা। যদিও আপাতত শপিং মল কিংবা রেস্তরাঁ বন্ধ রাখারই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শনিবার কেন্দ্রের ঘোষণার পর সিদ্ধান্ত বদলাল রাজ্য। দীর্ঘ প্রায় আড়াই মাস বন্ধ থাকার পর এবার খুলবে রাজ্যের শপিং মল ও রেস্তরাঁগুলিও।
রাজ্যের নির্দেশিকা ঘোষণার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই লকডাউনের পঞ্চম দফা ঘোষণা করল কেন্দ্র। আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত ঘোষিত লকডাউনের এই পর্বের নয়া নাম আনলক ওয়ান। অর্থাৎ ধাপে ধাপে তোলা হবে লকডাউন। কেবলমাত্র কনটেনমেন্ট জোনেই জারি থাকবে সমস্ত বিধিনিষেধ। অন্যান্য এলাকায় খুলবে ধর্মীয় স্থান, শপিং মল, রেস্তরাঁ- সবই। এদিনই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশিকায় জানানো হয়, প্রথম ধাপে ৮ জুন থেকে সমস্ত ধর্মীয় স্থান, হোটেল, রেস্তরাঁ, শপিং মল খুলে যাবে।
কেন্দ্রের পথে হেঁটেই এদিন নবান্নের তরফে জানিয়ে দেওয়া হল, ১৫ জুন পর্যন্ত রাজ্যে লকডাউন জারি থাকবে। তবে আগামী ৮ জুন থেকে বাংলাতেও সমস্ত শপিং মল এবং রেস্তরাঁ খোলার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। শুধুমাত্র কনটেনমেন্ট এলাকার যেসব স্থানে সংক্রমণের হার সর্বাধিক, সেখানকার রেস্তরাঁ খোলা যাবে না। ২৫ মার্চ লকডাউন ঘোষণার পর থেকেই শপিং মল, রেস্তরাঁ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। কেবলমাত্র রেস্তরাঁ থেকে অনলাইনে খাবার অর্ডার দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছিলেন ক্রেতারা। তবে এবার রেস্তরাঁয় গিয়ে খাওয়া-দাওয়া করতে পারবেন ভোজনরসিকরা। শপিং মলে গিয়ে কেনাকাটাও করা যাবে। তবে সব ক্ষেত্রেই সামাজিক দূরত্ব মানতে হবে। মুখে মাস্ক পরাও বাধ্যতামূলক।
কেন্দ্রের ঘোষণার পর এদিন রাজ্যের নির্দেশিকায় অনেকটাই স্পষ্ট যে জুন থেকে প্রায় স্বাভাবিক হচ্ছে জনজীবন। যদিও এখনও বন্ধ আন্তর্জাতিক উড়ান এবং মেট্রো পরিষেবা। তবে এটুকু শিথিলতাই সংক্রমণের হার কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেবে না তো? করোনা ভাইরাসের দাপটে বিধ্বস্ত হয়ে পড়বে না তো দেশ? প্রশ্ন তুলছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.